চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় তালাবদ্ধ বাড়ির ভেতর থেকে এক দম্পতির রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার পুরাতন বাজারপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন- ওই এলাকার নজির উদ্দির (৭০) ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুন (৬০)।
এদিকে, মরদেহ উদ্ধারের পর দীর্ঘসময় ধরে আলামত সংগ্রহের কাজ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে বিকেল ৫টার দিকে মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এরই মধ্যে হত্যাকাণ্ডের কারণ খুঁজতে মাঠে নেমেছে পুলিশের একাধিক সংস্থা।
নিহত নজির উদ্দিনের মেয়ে ডালিয়ারা পারভীন শিলা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় মা-বাবার সঙ্গে তার শেষ কথ হয়। শনিবার সকাল থেকে ফোনে না পেয়ে বাড়িতে এসে দেখেন বাইরে থেকে তালা দেওয়া। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পর কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় স্থানীয় মন্টু নামে একজনকে বাড়ির সীমানা প্রাচীর টপকিয়ে ভেতরে পাঠানো হয়। তিনি ভেতরে গিয়ে দেখেন দুজনের হাত-পা বাঁধা মরদেহ দুই জায়গায় পড়ে আছে। পরে খবর দেওয়া হলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বাড়ির মেইন গেট খুলে ভেতরে মরদেহ দেখতে পান।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে পিবিআই, সিআইডি ও জেলা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ শেষে বিকেল ৫টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুটি মর্গে পাঠানো হয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- যেহেতু তিনি সম্পদশালী ব্যবসায়ী ছিলেন এবং এক কন্যা সন্তানের জনক তাই পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এছাড়া সামাজিক, পারিবারিক বিষয় মাথায় রেখে ক্লু উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। একইসঙ্গে হত্যাকাণ্ডের শিকার দম্পতির সঙ্গে আরেকপক্ষের জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্বের বিষটিও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
পিএসএন/এমঅাই


