সুস্থ থাকতে নিয়মিত দাঁত মাজার বিকল্প নেই। বেশিরভাগ মানুষই সকালে ঘুম থাকে উঠে দাঁত মাজেন। অবশ্য দন্ত বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতের খাবার খাওয়ার পর দাঁত মাজা সবচেয়ে বেশি জরুরি। সকালে ঘুম থেকে উঠেই হোক কিংবা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে— দাঁত মাজার বিকল্প নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল ডেন্টাল হেলথ স্ট্যাটাস রিপোর্ট (২০২২) বলছে, বিশ্বজুড়ে ৩.৫ বিলিয়ন মানুষ দাঁতের সমস্যায় ভুগছেন। শীতে দাঁত সংক্রান্ত ব্যথা আরও বাড়ে। দাঁতে ব্যথা, দাঁতে পোকা ধরা, মাড়ি থেকে রক্তপাতের সমস্যা লেগেই থাকে।
দাঁতের সমস্যার পেছনে দায়ী ডেন্টাল হাইজিন ভালো না হওয়া। দাঁত মাজা, জিভ পরিষ্কার করা কিংবা ফ্লস করাই দাঁত পরিষ্কারের জন্য যথেষ্ট নয়। কিছু ঘরোয়া টোটকা রয়েছে, যার মাধ্যমে দাঁতের সমস্যার সমাধান হতে পারে। চলুন বিস্তারিত জেনে নিই-
আয়ুর্বেদে নিমের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। স্বাদ তেঁতো হলেও এতে আছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান, যা মাড়ির সমস্যা, প্লাক গঠনে বাধা তৈরি করে। নিম কাঠি দাঁতে ঘষতে পারেন। চাইলে নিম পাতা চিবোতেও পাবেন। নিয়মিত নিম পাতা বা কাঠি দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করলে ক্যাভিটি আর দাঁত ছুঁতে পারবে না।
রান্নায় ব্যবহৃত মশলা দাঁতের যত্নেও দারুণ কার্যকর। আয়ুর্বেদে এমন বেশ কিছু মশলার উল্লেখ রয়েছে, যা দাঁত পরিষ্কারে সাহায্য করে। দুই দাঁতের ফাঁকে মাড়িতে আটকে থাকা জীবাণু পরিষ্কার করতে সাহায্য করে মসলা। লবঙ্গ, দারুচিনি ও এলাচ দাঁতের জন্য উপকারী। এসব মশলায় থাকা অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান দাঁতকে জীবাণু মুক্ত রাখে। এসব মশলা দাঁতে ঘষতে পারেন। চাইলে চিবোতেও পাবেন।
দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কুলকুচি করতেই হয়। তবে, কেবল পানি দিয়ে কুলকুচি করলে চলবে না। তার সঙ্গে নারকেল তেলও ব্যবহার করুন। আয়ুর্বেদের মতে, নারকেল তেল, তিলের তেলের মতো উপাদান দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এসব তেল দাঁতকে জীবাণু মুক্ত রাখে, প্লাক গঠন করতে দেয় না এবং দাঁতের হলদেটে ভাব দূর করে। এক চামচ তেল মুখে নিয়ে ১০-১৫ মিনিট কুলকুচি করুন। এরপর ফেলে দিন। এতে মুখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং দাঁত পরিষ্কার থাকে।
কেবল দাঁত ও মাড়ি পরিষ্কার করলে চলবে না, জিভও সমানভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে। জিভের উপর খাবারের টুকরো আটকে থাকতে পারে এবং ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। তাই দাঁত মাজার পাশাপাশি পরিষ্কার করুন জিভও। স্টেনলেস স্টিল বা কপার টাঙ্ক স্ক্রাপার দিয়ে জিভ পরিষ্কার করতে পারেন। আবার নিম কাঠিও জিভে ঘষতে পারেন।