আজ বাংলা পঞ্জিকায় আশ্বিনের ১১ তারিখ। শরতের শেষ প্রান্তে এসে বর্ষার চিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দ্বিতীয় দিনের মতো টানা বৃষ্টি হচ্ছে, যা জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। বিশেষ করে ঢাকার শ্রমজীবী মানুষের জন্য এই বৃষ্টি যেন এক অভিশাপ। বৃষ্টিতে ভিজে রিকশা চালানো, বোঝা টানা অথবা ফুটপাতে কোনো কিছু বিক্রি করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ছে। একইসঙ্গে অফিসগামী চাকরিজীবী এবং শিক্ষার্থীরাও বিপাকে পড়ছেন। বৃষ্টির কারণে গণপরিবহনে সংকট দেখা দিচ্ছে এবং রাস্তায় পানি জমে যানজট বেড়ে যাচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবারও (২৬ সেপ্টেম্বর) সারা দিন থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের শঙ্কাও রয়েছে। তবে আগামীকাল বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমে আসতে পারে।
যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ খুব বেশি ছিল না, তথাপি কুমারখালীতে সর্বোচ্চ ১০৪ মিলিমিটার এবং ঢাকায় ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেছেন, আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। আজও দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে, তবে আগামীকাল থেকে বৃষ্টি কমতে পারে।
অন্যদিকে, আবহাওয়া অধিদফতরের ভারী বর্ষণের সতর্কবাণীতে বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কোথাও কোথাও আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (২৮৯ মিলিমিটার) বর্ষণ হতে পারে। এর পাশাপাশি চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের শঙ্কাও রয়েছে।
আজ ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিমি বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।