ধূমপান ও তামাকজাতদ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০২৫ (সংশোধনী-২০১৩) বাস্তবায়নে গঠিত বিভাগীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভা আজ (সোমবার) দুপুরে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) দেবপ্রসাদ পাল।
সভায় সভাপতি বলেন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তিনি আরও বলেন, পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ধূমপান বন্ধ করতে হবে এবং তামাকজাত দ্রব্যের উৎপাদন, ব্যবহার, ক্রয়-বিক্রয় ও বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। তিনি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পরামর্শ দেন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পার্ক ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের একশত মিটারের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানান। এছাড়া, সকল পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ‘নো-স্মোকিং’ সাইনেজ স্থাপনের গুরুত্বও তুলে ধরা হয়।
সভায় বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম, বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক অনিন্দিতা রায়, খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. অর্পণা বিশ্বাস, এবং বিআরটিএ এর পরিচালক মোঃ জিয়াউর রহমান। এছাড়া, প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক কাজী মোহাম্মদ হাসিবুল হক।
সভায় জানানো হয়, বছরে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার মানুষ তামাকজাত দ্রব্য সেবনে মৃত্যুবরণ করে। বর্তমানে দেশে ৩০ বা তার বেশি বয়সীদের মধ্যে ৭০ লাখের অধিক মানুষ তামাক সেবনজনিত রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে ১৫ লক্ষাধিক মানুষ দীর্ঘস্থায়ী তামাকজনিত রোগে ভুগছে। এছাড়া, ১৫ বছরের কম বয়সী ৪ লাখ ৩৫ হাজার শিশু তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত।
বিক্রির ওপর জরিমানা: পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ধূমপান করলে ৩০০ টাকা জরিমানা; পুনরায় অপরাধ করলে দ্বিগুণ জরিমানা। নিষিদ্ধ বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য তিন মাসের জেল ও এক লাখ টাকা জরিমানা। অটোমেটিক ভেন্ডিং মেশিন ব্যবহারে তিন মাসের জেল ও এক লাখ টাকা জরিমানা। অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রির জন্য পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং ধূমপানমুক্ত এলাকায় ধূমপান করলে ৫০০ টাকা জরিমানা।