নাটোরের বড়াইগ্রামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুর রহমান (১৬) নামে দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার তাকে আটক করা হয়। আটক আব্দুর রহমান নাটোর সদর উপজেলার করোটাঝাড়মারা গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে ও উপজেলার বনপাড়া সেন্ট যোসেফ স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নির্যাতিতা ছাত্রীর সঙ্গে মাসখানেক আগে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠে আব্দুর রহমানের। এক সপ্তাহ আগে মেয়েটিকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নাটোর শহরে নিয়ে যায় আব্দুর রহমান। সেখানে সহপাঠী বোরহানের বাসায় নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে আব্দুর রহমান। সেইসঙ্গে মোবাইল ফোনে আপত্তিকর ছবি তুলে রাখে সে। এরপর শুক্রবার সকালে ওই ছাত্রীকে সে পুনরায় সহপাঠীর বাসায় ডাকলে মেয়েটি যেতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে আব্দুর রহমান মোবাইলে ধারণ করা ছবি দেখিয়ে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এসময় কৌশলে ওই ছাত্রী সহপাঠীদের নিয়ে আব্দুর রহমানের মোটরসাইকেলের চাবি ও মোবাইল ফোন নিজ হেফাজতে নিয়ে চিৎকার শুরু করে। পরে স্কুলের শিক্ষকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ছাত্র-ছাত্রীর তিনটি মোবাইল ফোন এবং মোটরসাইকেল স্কুলের জিম্মায় নিয়ে উভয়পক্ষের অভিভাবককে ডেকে পাঠান।শনিবার দুপুরে উভয়পক্ষের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা স্কুলে এলে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে আব্দুর রহমানকে আটক করে। সেই সঙ্গে ভুক্তভোগী ছাত্রী এবং জব্দ করা মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেল থানায় নিয়ে যায়।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বড়াইগ্রামের হলেও ঘটনাস্থল নাটোর সদর থানা এলাকায়। তাই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়ে সিদ্ধান্ত চাওয়া হয়েছে। নির্দেশ অনুযায়ী সদর অথবা বড়াইগ্রাম থানায় মামলা নেওয়া হবে।
পি এস/এন আই