অভিনয় দক্ষতা ও সৌন্দর্যের দ্যুতির তিল পরিমাণ ঘাটতি নেই অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনার মাঝে। তার দর্শকপ্রিয়তাও ঈর্ষণীয়। তবুও প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড়ে মোটেই শামিল হন না তিনি। কাজ করে যান নিজের মতো বেছে বেছে। এভাবেই যাকিছু ভালো তা দিয়ে নিজের ঝুলি পূর্ণ করছেন তিনি। সম্প্রতি শেষ করেছেন একটি সিনেমার কাজ।
শুরুতে সিনেমাটির প্রসঙ্গ টেনে ভাবনা বলেন, “সম্প্রতি ‘দামপাড়া’ নামে একটি সিনেমার কাজ শেষ করলাম। এতে আমি আমাকে দুটি বয়সের চরিত্রে অভিনয় করতে হয়েছে। দেশের প্রথম ফিমেল অ্যাম্বেসেডর মাহমুদা হকের চরিত্রে অভিনয় করেছি আমি। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রযোজনায় এটি নির্মাণ করেছেন শুদ্ধমান চৈতন।”
এই মুহূর্তে চার-পাঁচটি সিনেমায় কাজের প্রসঙ্গে কথা হচ্ছে ভাবনার। তবে কি টিভি নাটককে ভুলে যাবেন— জবাবে তিনি বলেন, ‘কখনও না। কেননা আমার শুরুই টিভি নাটকের মাধ্যমে। আমাকে এতদূর এনেছে নাটক। অতএব নাটককে এড়িয়ে চলার কোনো সম্ভাবনাই নেই। ব্যস্ততার ভিড়ে কিছুটা হেরফের হতে পারে তবে একেবারে নাটক বিমুখ কখনও হব না।’
সমসাময়িকরা যেখানে প্রতিদিনই কাজে ব্যস্ত, ভাবনা সেখানে বেছে কাজ করেন। তবুও গ্রহণযোগ্যতায় রয়েছেন সামনের সারিতে। এর কারণ কী— জানতে চাইলে এই তারকা বলেন, “আমি চাইলেই কাজের সংখ্যা বাড়াতে পারি, একাধিক সিনেমায় অভিনয় করতে পারি। কিন্তু আমি একটা সিনেমা শেষ করে এমন একটা সিনেমা খুঁজি যা আমার আগের কাজটিকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। যেমন ‘লাল মোরগের ঝুটি’ সিনেমায় যুক্ত হওয়ার সময় আমি জানতাম এটা বাণিজ্যিক কোনো মুভি না। তবে এটা আমাকে একটা জায়গায় নিয়ে যেতে পারবে। সেকারণে এই ছবি করতে গিয়ে এমন সিনেমা ছেড়েছি যা আমাকে জনপ্রিয়তা টাকা— দুটিই দিত। আমি চাইলেই ৩০ দিন শুটিং করতে পারি, অর্থও উপার্জন করতে পারি। কিন্তু ভালো কাজের অপেক্ষা ও বেছে কাজ করার জন্যই আমাকে কম পাওয়া যায়।”


