টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে আরও নাজুক হয়ে পড়েছে শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতি। শেরপুরে প্লাবিত হয়েছে পাঁচ উপজেলার দুই শতাধিক গ্রাম। ৩৫ বছরের মধ্যে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির কবলে পড়েনি স্থানীয়রা। নালিতাবাড়িতে সড়ক ভেঙে ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ সড়কে বড় কোনো যান চলাচল করতে পারছে না, তাই নৌকা বা বিকল্প সড়কে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
রোববার (৬ অক্টোবর) এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, পাহাড়ি নদী সোমেশ্বরী, কর্ণঝোড়া, মহারশী, ভোগাই ও চেল্লাখালীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হবে।
এদিকে নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা আরও বাড়ছে। তিন উপজেলায় এখনও অর্ধলাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমন আবাদ, মাছের ঘের ও সবজি আবাদ।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রক্ত সৈনিক বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আল আমিন রাজু বলেন, ঢলের পানির প্রবল স্রোতে নালিতাবাড়ী হতে শেরপুর আসার আঞ্চলিক সড়কটি ভেঙে গেছে। এখান দিয়ে ভারী যানবাহন চলা আর সম্ভব নয়। তাই বিকল্প পথে চলাচল করার অনুরোধ রইলো।