জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জড়ো হচ্ছেন ১৪০ জনেরও বেশি বিশ্বনেতা। তাদের মধ্যে রয়েছেন– ইসরায়েল, ফিলিস্তিন ও ইউক্রেনের রাষ্ট্রপ্রধানও। উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকের অতিথিদের নিরাপদ রাখা মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ। সাম্প্রতিক সময়ে সংস্থাটি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার দুটি ঘটনা প্রতিরোধে ‘ব্যর্থতার’ ঘটনায় ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে। খবর ইন্ডিপেন্ডেন্টের
জাতিসংঘ অধিবেশনে বিশ্বের অনেক প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, রাজাসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এক শহরে এবং একই সময়ে এক ছাদের নিচে জড়ো হন। সিক্রেট সার্ভিস প্রতিবছর তাদের জন্য সবচেয়ে জটিল এই আয়োজনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে। এরই মধ্যে নিউইয়র্ক সিটিকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেলে ফেলা হয়েছে।
নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ, জাতিসংঘের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা পরিষেবা, অন্যান্য সংস্থাগুলো মিলে পুরো শহরের নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরি করে। এই আয়োজনকে কেন্দ্র করে সিক্রেট সার্ভিস সারাবিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকেও এজেন্টদের নিয়ে আসে। কোস্টগার্ড জাতিসংঘের কাছে ইস্ট রিভারে প্রবেশাধিকার সীমাবদ্ধ করছে এবং ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন শহরের আকাশপথ বন্ধ করে দিচ্ছে।
ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের ওপর হত্যাচেষ্টার ঘটনার পর সিক্রেট সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রোনাল্ড এল রো জুনিয়র বলেন, এজেন্টরা একনিষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালন করছে এবং তারা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত। সিক্রেট সার্ভিসের নিউইয়র্ক ফিল্ড অফিসের দায়িত্বে থাকা স্পেশাল এজেন্ট প্যাট্রিক ফ্রেনি বলেন, জাতীয় বিশেষ নিরাপত্তা ইভেন্ট ঘিরে আন্তঃসংস্থা পরিকল্পনা, যোগাযোগ ও সহযোগিতার সর্বোচ্চ সমন্বয় করা হয়েছে। রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের নিরাপত্তায় আমরা শহরের চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছি। এফবিআই, ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্টসহ ১০টি স্থানীয় এবং ফেডারেল সংস্থা এগুলো নিয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলোর একটি হলো, তাদের সবাইকে এখানে নিয়ে আসা এবং তার পরে নিরাপদে চলে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা। একই সময়ে ১৪০টির বেশি গাড়িবহর একটি এলাকায় নিয়ে আসা অবশ্যই চ্যালেঞ্জের। আমরা সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।