২০১০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন শিক্ষার্থী আবু বকর। এ ঘটনায় সিন্ডিকেট দশ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে, তবে দুই শিক্ষার্থীর রিট দায়ের করলে বহিষ্কারাদেশ অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। সম্প্রতি রায়ের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উচ্চ আদালতে আপিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ বুধবার জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রফিকুল ইসলাম পান্না স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র মো. আবু বকর সিদ্দিকের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রদের বহিষ্কারাদেশ অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ন্যায্যতা ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ২০১০ সালে স্যার এ এফ রহমান হলে একটি ছাত্র সংগঠনের বিবদমান দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় নিজ কক্ষে অবস্থানকালে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র মো. আবু বকর সিদ্দিক মারাত্মকভাবে আহত হন এবং পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এই সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১০ সালের ২ মার্চ অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় ১০ জন ছাত্রকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বহিষ্কৃত ছাত্রদের মধ্য থেকে দু’জন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বহিষ্কারাদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট ডিভিশনে পৃথক পৃথক রিট দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ডিভিশন ২০১২ সালে বহিষ্কারাদেশ অবৈধ ঘোষণা করে বাদীদের পক্ষে রায় প্রদান করেন। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করে, উচ্চ আদালতে আপিল করার মাধ্যমে মেধাবী ছাত্র আবু বকর সিদ্দিক হত্যার বিষয়ে ন্যায়বিচার পাওয়ার পথ সুগম হবে।