কাশ্মীরের পর্যটননগরী পহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় শোক ও উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি ভারত সরকারের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক শিখ সংগঠন শিখ ফর জাস্টিস (এসএফজে) এবং সর্বদলীয় হুরিয়ত কনফারেন্স (এপিএইচসি)।
এসএফজের নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুন সরাসরি দাবি করেছেন, “এই হামলা ছিল একটি সাজানো ‘ফলস ফ্ল্যাগ’ অপারেশন। এর পেছনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও সরকারের হাত রয়েছে।” তিনি বলেন, কাশ্মীরি স্বাধীনতা আন্দোলনকে কলঙ্কিত করার উদ্দেশ্যেই এই হামলার মঞ্চায়ন করা হয়েছে। “হিন্দুদের হত্যা করে কাশ্মীরের স্বাধীনতা সম্ভব নয় – এই হামলায় লাভবান হবে শুধু মোদি সরকার,” বলেন পান্নুন।
তিনি আরও বলেন, “একজন শিখ হিসেবে আমি জানি প্রাণহানির যন্ত্রণা কী। এই ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক জনমতকে প্রভাবিত করার একটি কৌশল, যার ইতিহাস রয়েছে বিল ক্লিনটনের সফরের সময়ের ঘটনার সঙ্গেও।”
একই সুরে কথা বলেছে কাশ্মীরভিত্তিক রাজনৈতিক জোট হুরিয়ত। তারা দাবি করেছে, “এই হামলা কাশ্মীরি জনগণের উপর আরোপিত দমননীতির অংশ। এটি স্বাধীনতা আন্দোলনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য ভারত সরকারের একটি পরিকল্পিত পদক্ষেপ।”
হুরিয়তের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “দেশজুড়ে চলমান বিক্ষোভ এবং জনঅসন্তোষের বাস্তবতা থেকে মনোযোগ সরাতে সরকার এ ধরনের চক্রান্ত করে থাকে। এই হামলাও তারই অংশ।”
হুরিয়ত নেতারা স্মরণ করিয়ে দেন, অতীতে চাট্টিসিংপোরা গণহত্যার মতো ঘটনার মাধ্যমেও ভারতীয় সংস্থাগুলি একই ধরনের ষড়যন্ত্র চালিয়েছে, যার সত্যতা আজও বিতর্কিত।তাদের প্রধান দাবি: এই হামলার নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক তদন্ত হোক, যাতে প্রকৃত সত্য প্রকাশ্যে আসে এবং কাশ্মীরিদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়।