বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, আমরা চাই এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে পাহাড় ও সমতলের কোনো বিভেদ থাকবে না। যে দেশের মানুষ ন্যূনতম মানবিক অধিকারের স্বাধীনতা, সমানাধিকার নাগরিক সুবিধা এবং সবার জন্য সমান মৌলিক মানবাধিকার নিয়ে বাঁচবে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাঙামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের উদ্যোগে অভ্যুত্থানের প্রেরণায় আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও দুর্নীতি, চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ছাত্র নাগরিক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, পাহাড়ের স্কুলগুলোকে বর্গা শিক্ষক দিয়ে লেখাপড়া করানো হয়। এতে শিক্ষার মান বাড়ছে না। আমরা চাই ঢাকায় যেভাবে লেখাপড়া করানো হয়, তেমনি পাহাড়ে একই লেখাপড়া করানোর ব্যবস্থা করতে হবে। সবাইকে শহরে নেওয়া সম্ভব নয়, শহর সবখানে ছড়িয়ে দেওয়া যাবে। এজন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারকে এ ব্যাপারে অবহিত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ছাত্ররা নিজের জীবন দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়েছে। যতদিন না পর্যন্ত রাষ্ট্র পুনর্গঠন হচ্ছে, ততদিন আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এ সময় আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকব। আমাদের বিভাজন করার ষড়যন্ত্র চলছে। আবু সাঈদ, সৈয়দ ওয়াসিমের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, তা রক্ষা করতে হবে।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফিসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।