বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। সরকার পতনের পর রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুড়িয়ে দেওয়া হয় রাজধানীসহ সারা দেশের থানা ও ট্রাফিক পুলিশ বক্সসহ সরকারি বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান।
এতে ভেঙে যায় দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা। এ কারণে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর সহযোগিতা পূর্ণমাত্রায় জনমানুষ পায়নি। তবে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ফোন কলে সীমিত সেবা চালু রাখে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বেলা ১১টায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এক খুদে বার্তার মাধ্যমে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম চালুর বিষয়টি জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, দেশ আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরা। দেশের বিভিন্ন স্থানে থানা কার্যক্রম পুনরায় চালু হয়েছে। সরকারি দপ্তরগুলোতেও কার্যক্রম চালু হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশের মানুষের কাঙ্ক্ষিত নাগরিক সেবা দিতে ব্যাহত হয় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯। তবে ৮ দিন পর পূর্ণমাত্রায় এর কার্যক্রম চালু হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. আনোয়ার সাত্তার বাংলানিউজকে বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর কার্যক্রম বন্ধ ছিল না। গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত আমরা শতভাগ সেবামূলক কার্যক্রম চালু রাখতে পেরেছি। গত ৬ আগস্ট থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত আমরা সীমিত আকারে সেবা দিতে পেরেছি।
সীমিত আকারে সেবা দেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন থানায় পুলিশের উপস্থিতি ছিল না। তাই আমরা পূর্ণ সেবা দিতে পারিনি। তবে আমরা ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিতে পেরেছি। তবে ১২ আগস্ট থেকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর কার্যক্রম শতভাগ চালু হয়েছে।
আনোয়ার সাত্তার বলেন, আগের মতো আমরা নাগরিকদের সঠিক ও পূর্ণ সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছি।