তার টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ নিয়ে সমালোচনা হয়েছে বিস্তর। রানিং বিট্যুইন দ্য উইকেটে দুর্বলতা, পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে না পারার কথাও বলা হয়েছে অনেক। যে কারণে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের একাদশেই জায়গা হয়নি বাঁহাতি ওপেনার নাইম শেখের।
তবে ওমানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই দলে ফেরেন তিনি, প্রথম ম্যাচেই খেলেন ৬৪ রানের ইনিংস। মাঝে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে হাসেনি নাইমের ব্যাট। এক ম্যাচ পর সুপার টুয়েলভের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আবারও ফিফটি পেরোলেন ২২ বছর বয়সী এ বাঁহাতি ব্যাটার।
শারজাহ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪৪ বলে চারটি চারের মারে ব্যক্তিগত ফিফটি পূরণ করেছেন নাইম। পঞ্চাশ করার এক বল হাঁকিয়েছেন আরও একটি বাউন্ডারি। আর এ ফিফটির সুবাদে প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে এসেই রেকর্ডে নাম লেখালেন ফরিদপুরের এ তরুণ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংসের রেকর্ড এতোদিন ছিল তামিম ইকবালের একার দখলে। ২০১৬ সালের বিশ্বকাপে দুইটি পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। নেদারল্যান্ডস ও ওমানের বিপক্ষে যথাক্রমে ৮৩* ও ১০৩* রানের ইনিংস খেলেন তামিম। সেটি ছিলো তামিমের ষষ্ঠ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
এবার প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে এসে মাত্র তিন ম্যাচের মধ্যেই জোড়া ফিফটি করে ফেললেন নাইম। ওমানের বিপক্ষে ৫০ বলে ৬৪ রানের ইনিংসের পর আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অপরাজিত রয়েছেন ৫০ বলে ৬১ রান করে।
বাংলাদেশের রেকর্ড গড়লেও, বিশ্বরেকর্ড থেকে বেশ দূরেই রয়েছেন নাইম ও তামিম। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলার রেকর্ড রয়েছে বিরাট কোহলি ও ম্যাথু হেইডেনের দখলে। ২০০৭ সালের আসরে হেইডেন ও ২০১৪ সালের আসরে কোহলি খেলেন ৪টি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস।
এছাড়া এক আসরে তিনটি করে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলার রেকর্ড রয়েছে মাহেলা জয়াবর্ধনে (২০১০), বিরাট কোহলি (২০১৬), তিলকারাত্নে দিলশান (২০০৯), ক্রিস গেইল (২০১২), শেন ওয়াটসন (২০১২), গৌতম গম্ভীর (২০০৭), মারলন স্যামুয়েলস (২০১২) ও স্টিফেন মাইবার্গের (২০১৪)।