প্রথমবারের মতো সৌদি আরবের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান হয়েছেন এক নারী। শুক্রবার এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে মিডল ইস্ট মনিটর। জানা গেছে যে সৌদি বাদশাহর আদেশে ওই নারী এমন গুরুত্বপূর্ণ পদ পান।
দেশটির সরকারি গণমাধ্যম সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) প্রতিবেদন অনুসারে, ‘সৌদি বাদশাহ সালমান একটি রাজকীয় আদেশ জারি করেছেন মানবাধিকার কমিশনের প্রধান হিসেবে হালা আল-তুওয়াইজরিকে নিয়োগ করে। তিনি এ পদে অধিষ্ঠিত প্রথম নারী।’
হালা আল-তুওয়াইজরি সৌদি সরকারের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান হিসেবে আওয়াদ বিন সালেহ আল-আওয়াদের স্থলাভিষিক্ত হবেন। এ কমিশন সরকার থেকে স্বাধীন বলে দাবি করে। কিন্তু, এ সংস্থাটির প্রধান একটি রাজকীয় আদেশ দ্বারা নিযুক্ত হন এবং এর সকল সদস্য সৌদি আরবের মন্ত্রী পরিষদের সভাপতি দ্বারা নিযুক্ত হন। তবে এ সকল সদস্যদেরও একটি রাজকীয় আদেশ দ্বারা নিযুক্ত করা হয়।
মানবাধিকার কমিশনের প্রধান মন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত। অর্থাৎ, সৌদি মানবাধিকার কমিশনের প্রধানের মর্যাদা একজন মন্ত্রীর সমান।
বাদশাহ সালমান মানবাধিকার কমিশনের বিদায়ী প্রধান আওয়াদকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে আরেকটি আদেশ জারি করেছেন। আদেশে আওয়াদকে মন্ত্রীর পদমর্যাদার সঙ্গে রাজকীয় আদালতের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন অনুসারে, আল-আওয়াদের মেয়াদে এ সৌদি মানবাধিকার কমিশনে ১২ নারীকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়।
এ সৌদি রাজকীয় আদেশের আগে আল-তুওয়াইজরি জুন ২০১৭ সাল থেকে দেশটির পরিবার বিষয়ক কাউন্সিলের সেক্রেটারি-জেনারেল ছিলেন। এ রাজকীয় আদেশের মাধ্যমে তিনি প্রথম নারী হিসেবে সৌদি মানবাধিকার কমিশনের প্রধান নিযুক্ত হন।
সৌদি আরবের সরকারি বিবৃতি অনুসারে দেশটি তার (জনগণের) মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য ইউরোপীয় প্রতিনিধিদলসহ বেশ কয়েকটি প্রতিনিধিদলকে তারা স্বাগত জানিয়েছে। দেশটি কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘনের অস্তিত্ব অস্বীকার করে।
জামাল খাশোগিকে হত্যার পরে সৌদি মানবাধিকার কমিশন বলেছে, ‘এ সৌদি সাংবাদিক বা কোনো প্রতিপক্ষকে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তারা জড়িত না।’
তবে আন্তর্জাতিক বা জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন তদন্তে সৌদি কর্তৃপক্ষ এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর


