জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শেষবারের মতো ভাষণে দিয়েছেন জো বাইডেন। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে গতকাল মঙ্গলবার বক্তব্য দেন তিনি।
বিদায়ি ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানো প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বাইডেন বলেন, কিছু বিষয় ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।লেবাননের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বাইডেন বলেন, ‘সর্বাত্মক যুদ্ধ কারোই কাম্য নয়। এমনকি অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হলেও কূটনৈতিক সমাধান সম্ভব।’দোদুল্যমান দুই অঙ্গরাজ্যে কমলা পিছিয়ে
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের দুটিতে পিছিয়ে পড়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। আগামী ৫ নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যকে সত্যিকারের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে, তার মধ্যে এই তিনটিও রয়েছে।নিউইয়র্ক টাইমস ও সিয়েনা কলেজের ১ থেকে ২১ সেপ্টেম্বরের জরিপে দেখা গেছে, তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের মধ্যে দুটিতে কমলা পিছিয়ে পড়েছেন। এর আগে এসব অঙ্গরাজ্যে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন।
জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, এই তিনটি অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প জিতলে তাঁর জন্য ২৬২টি ইলেকটোরাল ভোট পাওয়া সহজ হবে। অর্থাৎ হোয়াইট হাউসে ফের যেতে হলে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তিনটি ডেমোক্র্যাট অঙ্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত মিশিগান, পেনসিলভানিয়া বা উইসকনসিনের মধ্যে যেকোনো একটি জিতলেই চলবে।অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে ৭১৩ জন ভোটারের মধ্যে করা জরিপে দেখা গেছে, এখানে ট্রাম্প সবচেয়ে ভালোভাবে ফিরে এসেছেন। গত আগস্ট মাসে এখানে ট্রাম্পের চেয়ে ৫ পয়েন্টে এগিয়ে গিয়েছিলেন কমলা। কিন্তু ট্রাম্প আবার কমলাকে পেছনে ফেলে ৫ পয়েন্টে এগিয়েছেন। বর্তমানে সেখানে ট্রাম্পের সমর্থন ৫০ শতাংশ আর কমলার ৪৫ শতাংশ। জর্জিয়ায় ৪ পয়েন্টে এগিয়ে ট্রাম্প।
সেখানে তাঁর সমর্থন ৪৯ শতাংশ আর কমলার ৪৫ শতাংশ। নর্থ ক্যারোলাইনায় ব্যবধান মাত্র ২ পয়েন্টের। সেখানে ট্রাম্পের সমর্থন ৪৯ শতাংশ আর কমলার ৪৭ শতাংশ।