ফিলিপাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ‘দৌলাহ ইসলামিয়ার’ শীর্ষ কমান্ডার নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর এক যৌথ অভিযানে তিনি নিহত হন। ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ কয়েকটি সিরিজ হামলার জন্য গোষ্ঠীটিকে সন্দেহ করা হয়। শনিবার (৩০ অক্টোবর) আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) ভোররাতে মাগুইন্দানাও প্রদেশের তালায়নে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে সালাহউদ্দিন হাসান নামের ওই কমান্ডার নিহত হন বলে এক সংবাদ বিবৃতিতে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
সালাহউদ্দিন হাসান ওরাক নামেও পরিচিত। তিনি দৌলাহ ইসলামিয়ার ফিলিপাইনের আমির। তালায়ান, মাগুইন্দানাওতে যৌথ অভিযান পরিচালনার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে তিনি নিহত হন বলে জানান সেনাবাহিনীর ষষ্ঠ পদাতিক ডিভিশনের প্রধান এবং জয়েন্ট টাস্ক ফোর্সের কেন্দ্রীয় কমান্ডার মেজর জেনারেল জুভিম্যাক্স উয়।
তিনি বলেন, সালাউদ্দিন হাসানের স্ত্রীও নিহত হয়েছে। তিনি গোষ্ঠীটিকে অর্থ সহায়তা দিতেন। তারা দুইজনেই গ্রেফতার এড়ানো চেষ্টা করছিল। রাইফেল, গোলাবারুদ ও ম্যাগাজিনসহ তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
হাসান এবং তার গোষ্ঠীকে ২০০৭ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে সেন্ট্রাল মিন্দানাওতে বোমা হামলা, চাঁদাবাজি এবং অন্যান্য হামলার জন্য দায়ী করা হয়।
দেশটির সামরিক বাহিনী বলেছে, হাসানের পরিচালিত গোষ্ঠটি ২০১৪ সালে মারামাগ বুকিডন গ্রামীণ ট্রানজিট বাসে বোমা হামলার সঙ্গেও জড়িত ছিল। ওই হামলায় ১১ জন নিহত হয়। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতি রদ্রিগো দুতের্তের নিজ শহর দাভাও সিটিতে একটি বোমা হামলা হয়েছিল। ওই ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছিল। এছাড়া ২০১৮ সালে সুলতান কুদারাত প্রদেশের ইসুলান শহরে একটি জোড়া বোমা হামলা করে গোষ্ঠীটি পাঁচ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা ও ৪০ জনকে আহত করে।
সামরিক বাহিনী হাসানের মৃত্যুকে গোষ্ঠীটির জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।