প্রতিদ্বন্দ্বী বিভিন্ন ফিলিস্তিনি উপদলগুলোর মধ্যে পুনর্মিলন চুক্তির লক্ষ্য হলো দেশটির জনগণকে ‘সঠিক নির্বাচন’ উপহার দেওয়া। এছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনার জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব দেওয়াও এ চুক্তির অন্যতম উদ্দেশ্য।
ফিলিস্তিনের মধ্যেকার বিভাজন কাটিয়ে ওঠার উপায় নিয়ে আলোচনা করার জন্য বিভিন্ন ফিলিস্তিনি দলগুলো আলজেরিয়ায় এসেছিল। এরপর প্রতিদ্বন্দ্বী এ দলগুলো আলজেরিয়ার মধ্যস্থতায় কয়েক মাস আলোচনার পর এক বছরের মধ্যে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে। অবশেষে তারা ১৫ বছরের বিভাজনের সমাধান করার লক্ষ্যে একটি পুনর্মিলন চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। তবে এর আগেও নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত না হওয়ার কারণে ফিলিস্তিনিরা এখন পর্যন্ত সমঝোতার প্রচেষ্টার প্রতি আশা ও সংশয়ের মধ্যে আছে।
বৃহস্পতিবার আলজেরিয়ার রাজধানীতে ফিলিস্তিনি পুনর্মিলন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র ফাতাহ নেতা আজাম আল আহমাদ, হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়া ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব ফিলিস্তিনের মহাসচিব তালাল নাজি। এ চুক্তিটি ইতিবাচক ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখায়। কিন্তু, এ স্বপ্নটি বাস্তবায়নের বিষয়টি নির্ভর করছে ফিলিস্তিনি দলগুলোর ঐক্য, বৈশ্বিক পরাশক্তিগুলোর ইতিবাচক মনোভাব ও ভবিষ্যতের ওপর।
এ বিষয়ে ‘টিআরটি আরবি’-এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে হানিয়া বলেছেন, আলজিয়ার্স ঘোষণা ফিলিস্তিনি জনগণকে দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করতে অবদান রাখবে।
হানিয়া বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য (ইসরায়েলি) দখলদারিত্বকে প্রতিহত করতে এবং মাথা উঁচু করে দাড়াতে সক্ষম হওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দেশটির প্রশাসন এবং জনগণের ঐক্যবদ্ধ হওয়া।
এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পর এক বক্তৃতায় ফাতাহের শীর্ষ কর্মকর্তা আজাম আল আহমদ বলেন, চুক্তিটি বাস্তবায়িত হবে এবং এটা একটি নিরর্থক কাগজ হিসেবে থাকবে না। তিনি বিভাজনের বছরগুলোকে ক্যান্সার রোগের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘তুরস্ক ফিলিস্তিনি দলগুলোর মধ্যে জাতীয় পুনর্মিলনের সম্মেলনের ফলাফলে সন্তুষ্ট। আমরা আন্তঃ-ফিলিস্তিনি পুনর্মিলন প্রক্রিয়ায় আলজেরিয়ার অবদানের প্রশংসা করি। তুরস্ক সবসময় ফিলিস্তিনি পুনর্মিলনকে সমর্থন করে।‘
সূত্র : টিআরটি ওয়ার্ল্ড


