পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় বুধবার এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর এই দেশটির দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক-ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ব্যাহত হতে পারে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, একটি নির্বাহী আদেশের অধীনে ‘গণবিধ্বংসী অস্ত্র এবং সেগুলো সরবরাহের উপায়গুলোকে লক্ষ্য করে’ পাকিস্তানের জাতীয় উন্নয়ন কমপ্লেক্স এবং তিনটি সংস্থার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থার যেকোনো সম্পত্তি জব্দ হবে এবং আমেরিকানদের সঙ্গে তারা ব্যবসাও করতে পারবে না।
এদিকে পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত ভারতের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতার দিকে ইঙ্গিত করে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপ ‘দুর্ভাগ্যজনক ও পক্ষপাতদুষ্ট’ এবং ‘সামরিক অসামঞ্জস্যতা জোরদার করার লক্ষ্যে’ আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ক্ষতি করবে।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের একটি ফ্যাক্টশিটে বলা হয়েছে, দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক-মিসাইল প্রোগ্রাম এবং ক্ষেপণাস্ত্র-পরীক্ষার সরঞ্জামের জন্য উপাদানগুলো পেতে চেয়েছে ইসলামাবাদ-ভিত্তিক এনডিসি। এবং এনডিসি ‘পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়নের জন্য দায়ী’, যার মধ্যে শাহীন সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।
পরমাণু বিজ্ঞানীদের গবেষণা সংস্থার বুলেটিন বলছে, শাহীন সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্র পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম।