শুকনো পাতার স্তূপ থেকে সম্প্রতি একটি নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছিল। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এ ঘটনার তদন্ত করতে নেমে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। একে একে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য, গ্রেফতার করা হয় শিশুটির মাকে। আর তারচেয়েও ভয়ঙ্কর পরিণতি হয়েছে ঘটনার চিত্রনাট্য লেখা দুজনের।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, সম্প্রতি চমকপ্রদ এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের কেরালায়। আর এর সূত্রপাত হয়েছিল ফেসবুকের একটি প্র্যাঙ্ক থেকে।
জানা যায়, গত জানুয়ারি মাসে কেরালার কোল্লাম জেলার কাল্লুভাতুক্কাল গ্রামে শুকনো পাতার স্তূপ থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক নবজাতককে। হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে মৃত্যু হয় তার। শিশুটির ডিএনএ নমুনার সূত্র ধরে পুলিশ পৌঁছে যায় তার মা রেশমার কাছে।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ফেসবুকে একজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন রেশমা। স্বামীকে ছেড়ে ওই লোকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। আর সেজন্যই নবজাতক সন্তানকে শুকনো পাতার স্তূপে ফেলে রেখে আসেন।
এর পরের তথ্যগুলো আরও চমকপ্রদ। পুলিশের তদন্তে জানা যায়, রেশমার ননদ ও ভাতিজি নিছক মজার ছলে ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন। তারাই ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে রেশমার সঙ্গে আলাপ করতেন। তাদের মজার সূত্র ধরেই রেশমার নবজাতক সন্তানের মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনা এখানেও শেষ নয়। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করার এক দিন পর তাদের কাছে খবর যায়, ওই দুই মেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, রেশমাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় তিনি এখন আইসোলেশনে রয়েছেন।