টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি গতকালই তুলে নিয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বাংলাদেশের বিপক্ষে লাল বলের ক্রিকেটে এই অলরাউন্ডার বরাবরই রান করে থাকেন। অশ্বিনের সেঞ্চুরিতে বিপর্যয় মুহূর্ত থেকে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। নিজের ব্যাটিং দক্ষতায় বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেওয়া এই অলরাউন্ডার দ্বিতীয় দিন শেষে প্রতিপক্ষকেও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। জানিয়েছেন বাংলাদেশও অনেক অভিজ্ঞ দল।
সংবাদ সম্মেলনে অশ্বিন বলেন, ‘আমি এটি আগেও বলেছি, (হাসি) এখানে বাংলাদেশের বিপক্ষে বলে আলাদা কিছু নেই। একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমি সবসময়ই ভালো করতে মুখিয়ে থাকি, পারফর্ম করে ম্যাচ জিততে চাই। আমি উপভোগ করি খেলাটা। সুযোগ পেলেই চেষ্টা করি ভালো করতে, সফল হওয়ার। এজন্যই খেলতে চাই আমি সবসময়। আমার জন্য বর্তমানে থাকাটা জরুরি ব্যাপার এবং নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই। বাংলাদেশ দলকে অনেক সম্মান করি আমি।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটে উন্নতি আরও আগেই দেখছেন বলে উল্লেখ করেন এই অভিজ্ঞ তারকা, ‘অনেকদিন ধরে তারা ভালো খেলে আসছে। বেশ অভিজ্ঞ একটি দল তারা। হয়তোবা সব ম্যাচ যোগ করলে আমাদের চেয়েও বেশি অভিজ্ঞ দল হতে পারে তারা, যদিও পরিসংখ্যানের ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই। আমরা অবশ্যই তাদের সম্মান করি।’৪৫ বছর আগের রেকর্ড ভাঙলো বাংলাদেশ-ভারতধীরে ধীরে চেন্নাইয়ের উইকেট যে পরিবর্তন হচ্ছে সেটাও স্বীকার করে অশ্বিন বলেন, ‘কিছুটা অসম বাউন্স রয়েছে আমার মনে হয়। স্লো হয়ে যাচ্ছে উইকেট। গতকাল অনেক সাহায্য ছিল। ৫ম দিনে গেলে আমার মনে হয় উইকেট আরও টার্ন করবে। চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে স্পিন সামলানোর ব্যাপারে। ব্যাটারদের কৌশল খাটাতে হবে, লম্বা ব্যাট করতে হবে।
বাংলাদেশ দলও এমন একটি দল যারা অনেক দিন ধরে খেলে আসছে। ফলে আমাদেরও সতর্ক থাকতে হবে এবং নিজেদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে।’তবে যেভাবে স্পিনাররা চেন্নাইয়ে রাজ করে আসছিলেন, সেটা উল্টে গেছে এবার। একইসঙ্গে সেখানকার অতিরিক্ত গরমের কথা বিবেচনায় নিয়ে বোলিংয়ের কৌশলও বলেছেন ৩৮ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার, ‘এখানে পেসারদের অবশ্যই বেশি কাজে লাগাতে চাইবেন। নতুন বল দিয়ে শর্ট স্পেল করাতে চাইবেন। হয়তো রোটেশন করবেন পরে। এই গরমের মধ্যে ৬-৭ ওভারের স্পেল করা কঠিন। আশা করছি কিছুটা ভালো আবহাওয়া পাওয়া যাবে, তবে অত বেশি আশাও করছি না।’