অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৎস ও প্রাণি সম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের সাথে বৈঠক করেন আহবায়ক কর্নেল মিয়া মশিউজ্জামান ও সদস্য সচিব ফারুক হাসানের নেতৃত্বে গণঅধিকার পরিষদের প্রতিনিধি দল। আজ বুধবার বিকাল ৩ টায় বেঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে গণঅধিকার পরিষদ মৎস উপদেষ্টাকে ৮ দফা প্রস্তাবনা তুলে দেন এবং অনতিবিলম্বে বাস্তবায়নের আহবান জানান। সেগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সমুদ্র সীমায় ভারতীয় ট্রলার প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করতে হবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে গণধিকার পরিষদের প্রস্তাবনা সমূহ : ১। বাংলাদেশের সমুদ্র সীমায় ভারতীয় ট্রলারের মাছ আহরণ বন্ধ করতে হবে। ২। মৎস্য ও প্রাণি খাদ্য উৎপাদন ব্যয় কমাতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। রাষ্ট্রীয় ভাবে পশু খাদ্য উতপাদন কেন্দ্র স্থাপন ও বিতরণ করতে হবে। কেন্দ্র টু খামারী নো মিডিয়া। ৩। প্রতিটি ইউনিয়নে সমাজ ভিত্তিক পুষ্টি নিশ্চিতকরণে মাছ ও মাংস উতপাদনে স্থানীয় উতপাদনকারীদের সমন্বিত প্রশিক্ষণ প্রকল্প হাতে নিতে হবে। প্রতিটি জেলায় সরকারী জমি নির্ধারণ করে সরকারী ভাবে মাছ ও মাংস উতপাদন কেন্দ্র বা খামার স্থাপন করা।
এছাড়াও প্রস্তাবনায় রয়েছে ৪। দাম কমাতে পরিবহনে অতিরিক্ত ব্যয় শূণ্যে আনতে হবে। কানেকশনটা সরাসরি উতপাদন কারী টু মার্কেট প্রক্রিয়ায় আনতে হবে। মাছ ও মাংস আমদানী ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। এজন্য দেশীয় উতপাদনকারীদের নির্দিষ্ট সময়ের/সিজনের জন্য ঋণ প্রদান করা প্রয়োজন যেটা তারা একবারে পরিশোধ করবে চাষ শেষে। ঋণ দেওয়া ক্ষেত্র গুলোর তত্ত্বাবধায়ন প্রক্রিয়ায় চুক্তি ভিত্তিক মন্ত্রনালয়ের/ ঋণ দেওয়া সংস্থার স্থানীয় প্রতিনিধি নিয়োগ দিতে হবে। ৫। মাছের অভয়াস্রম তৈরীতে দেশের বিল ও ঝিলের খাস জমি গুলো নির্ধারণ করে মাছ চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। স্থানীয় বাজার থেকে নূন্যতম পরিমাণ খাজনা নির্ধারণ করতে হবে। বাজার কমিটি বাতিল করতে হবে। পশুর হাট ইজারা নিষিদ্ধ করতে হবে। সীমান্তে পশুর অবাধ চোরাচালান বন্ধে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। মাছ ও পশু চোরাচালা বন্ধে কার্যকরী আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করতে হবে। প্রতি ৩ মাসে স্থানীয় উতপাদনকারীদের সাথে জেলার নির্দিষ্ট স্থানে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের বৈঠক বাধ্যতামূলক করতে হবে।
প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে ৬। শহর গুলোতে বাসার ছাদে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ উতসাহিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ। পুকুর বা মাছ চাষ ক্ষেত্রে পানির উপর ভাসমান প্রক্রিয়ায় মুরগি ও হাস চাষের জন্য উতসাহিত করতে হবে। ৭। দেশের নদী গুলোর মাছ প্রবাহ বৃদ্ধিতে স্থানীয় পর্যায়ে সকল জেলেদের সাথে মা মাছ ধরার ফলে দেশের ক্ষতি ও আইন সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। এবং নিষিদ্ধ মৌসমে জেলেদের রাষ্ট্রীয় ভাবে ভর্তুকী দিতে হবে। ৮। গ্রাম পর্যায়ে সকল বাড়িতে দেশী মুরগি ও হাস চাষাবাদ বাড়াতে একটি কার্যকরী প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন। মাছ, মুরগি, পশুর শরীরে কোন প্রকার মাংস বর্ধক বা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর এমন মেডিসিন প্রয়োগ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং আইন প্রণোয়ন করে শাস্তির বিধাম করতে হবে।
প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক কর্নেল অব. মিয়া মশিউজ্জামান, সদস্য সচিব ফারুক হাসান, উচ্চতর পরিষদ সদস্য ব্যারিস্টার জিসান মহসীন, যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান ও মোহাম্মদ আতাউল্লাহ, সদস্য সাকিব হোসাইন, ইমামুদ্দিন প্রমুখ।