সাতক্ষীরায় বাড়ির সামনে দিয়ে জোরে গান বাজিয়ে যাওয়ার অভিযোগে এক প্রতিবন্ধী তরুণীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করেছে এলাকাবাসী।
আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে সদরের লাবসা ইউনিয়নের থানাঘাটা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তরুণীর নাম রজিনা সুলতানা (২০)। তিনি সাতক্ষীরা শহরের সুইড খাতিমুন্নেসা হানিফ লস্কর বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তাঁর বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার থানাঘাটা এলাকায়। বাবার নাম রেজাউল করিম।
সদর উপজেলার থানাঘাটা গ্রামের ছখিনা খাতুন জানান, রজিনা সকাল ১০টার দিকে রাস্তা দিয়ে একটি স্পিকারে জোরে গান বাজিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় একই এলাকার ইলিয়াস হোসেন তাঁর বাড়ির সামনে জোরে গান বাজানোর বিষয়ে অভিযোগ করে হাতুড়ি দিয়ে রজিনার মাথায় কয়েকটি আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই রজিনার মৃত্যু হয়। ইলিয়াস ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন তাঁকে আটক করে মারধর করে। পরে র্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পে খবর দেয়। র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে ইলিয়াস ও তাঁর বাবা একরামুল হোসেন, মাসহ পাঁচজনকে আটক করে।
ইলিয়াস স্থানীয় লোকজনকে বলেন, রজিনা প্রায় বাড়ির সামনে দিয়ে গান বাজাতে বাজতে যেতেন। গান না বাজানোর জন্য বললে তিনি উল্টোপাল্টা বলতেন। আজকে গান বাজিয়ে যাওয়ার সময় নিষেধ করলে তা না শুনে রজিনা তাঁকে গালিগালাজ করে। এতে রেগে তিনি হাতুড়ি দিয়ে রজিনার মাথায় আঘাত করেন।
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মমতাজ মুজিদ জানান, নিহত রজিনাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁর মাথায় বড় ধরনের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
র্যাব-৬ সাতক্ষীরার কমান্ডার মো. ফয়সাল তানভীর জানান, এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে এ বিষয়ে জানানো হবে। ইলিয়াসকে সদর হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’