দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত জলসীমায় ফিলিপাইনের একটি জাহাজ চীনের সতর্কতা বারবার উপেক্ষা করে ইচ্ছাকৃতভাবে চীনা জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে চীনের কোস্ট গার্ড। তবে চীন এবং ফিলিপাইন এ ঘটনার জন্য একে অপরকে দায়ী করেছে।
সোমবার চীনা কোস্ট গার্ডের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।সংঘর্ষটি সোমবার ভোর ৩টা ২৪ মিনিটের দিকে ঘটে।চীনের কোস্ট গার্ডের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিওতে দেখা গেছে। ভিডিওতে চীনা জাহাজটিকে কোস্ট গার্ডের জাহাজ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।চীনের সামুদ্রিক নিরাপত্তা বিভাগের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ফিলিপাইনের ওই জাহাজটি সাবিনা শোলের জলের দিকে প্রবেশের চেষ্টা করলেও তা আটকানো হয়। এরপর এটি সেকেন্ড থমাস শোলের কাছে চলে যায়।
চীনা কোস্ট গার্ডের মুখপাত্র গান ইউ অভিযোগ করেন, ফিলিপাইনের দুটি কোস্ট গার্ড জাহাজ বেআইনিভাবে সাবিনা শোলের জলসীমায় প্রবেশ করে।তিনি বলেন, ফিলিপাইন বারবার উস্কানি দিয়েছে এবং চীন ও ফিলিপাইনের মধ্যে অস্থায়ী চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। ফিলিপাইনের কোস্ট গার্ডের একজন মুখপাত্র তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। চীনের কোস্ট গার্ড সতর্ক করে বলেছে, ফিলিপাইনকে তাদের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।
অন্যথায় তারা সমস্ত পরিণতির জন্য দায়ী থাকবে।বেইজিং তার প্রতিবেশীদের উপকূলের কাছাকাছি পানি, দ্বীপসহ দক্ষিণ চীন সাগরের অধিকাংশ অংশ নিজের বলে দাবি করে। এর মাধ্যমে তারা একটি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে। ট্রাইব্যুনাল অনুসারে, তাদের এ দাবির কোনো আইনি ভিত্তি নেই।চীন পানিতে টহল দিতে জাহাজ মোতায়েন করে এবং তার অবস্থানকে শক্তিশালী করতে কৃত্রিম দ্বীপ ও সামরিক স্থাপনা তৈরি করেছে।
এ নৌপথে বার্ষিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের নৌ বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে এ নৌপথে ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মালিকানা রয়েছে। ২০১৬ সালে স্থায়ী সালিশি আদালত জানায় যে, চীনের এ দাবির কোনো ভিত্তি নেই।এদিকে ম্যানিলা ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্ক সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জলসীমায় বেশ কয়েকটি ঘটনার জন্য বিপর্যস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ফিলিপাইন ও চীনা নৌকাগুলোর মধ্যে দুটি সংঘর্ষ রয়েছে। এ ছাড়া দেশগুলো এক ওপরকে দোষারোপ করেছে।