ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ‘স্বৈরাচারী’ শেখ হাসিনার পতনের এক মাস পূর্তিতে শহীদদের স্মরণে খুলনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মহানগরীর নিরালাস্থ তালুকদার কমিউনিটি সেন্টারে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি আল শাহরিয়ারের সভাতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি মিনহাজুল আবেদীন সম্পদ, আল শাহরিয়ার, হেলাল উদ্দিন, মুহিবুল্লাহ মুহিব, আয়মান আহাদ, সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদ, সেন্ট্রাল ল কলেজের প্রতিনিধি আহাম্মদ আমীন রাহাত, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আব্দুল্লাহ, ওমর ফারুক, খুলনা মেডিকেল কলেজের মুস্তাহিন জায়েদ, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত, বিএল কলেজের হুসাইন শেখ, কমার্স কলেজের মুহাম্মদ তারেক,নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মুনতাসির বিল্লাহ, মাদরাসা প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জেষ্ঠ্য সাংবাদিক অধ্যাপক শেখ দিদারুল আলম, বিএফইউজের সহকারি মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন, খুলনার ইতিহাস গবেষক অধ্যাপক এএইচএম জামাল উদ্দিন, অধিকার খুলনার ফোকাল পার্সন সাংবাদিক মুহাম্মদ নূরুজ্জামান, নিরাপদ সড়ক চাইয়ের (নিসচা) খুলনা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান মুন্না প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই স্বাধীনতা পেলাম। বুকের তাজা রক্ত দিয়ে যেসব শহীদ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা এনেছে, নতুন বিজয় দিবস আমাদের উপহার দিয়েছে তাদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না।
ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনাসহ হত্যা-নির্যাতনের সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান বক্তারা। দোয়া মাহফিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে দোয়া করা হয়।
দোয়া মাহফিলের পরে শহীদী মার্চ তালুকদার কমিউনিটি সেন্টার থেকে ময়লাপোতায় শেষ হয়। শহীদী মার্চে ছাত্র-জনতা স্লোগান দেয় ‘আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধর রক্ত বৃথা যেতে দেব না’,‘তুমি কে আমি কে বাঙালি, বাঙালি’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘বিচার চাই, বিচার চাই খুনি হাসিনার বিচার চাই’, ‘আমাদের শহীদেরা, আমাদের শক্তি’,সহ নানা স্লোগান দেয়।
শহীদী মার্চের শেষ সমাপনী বক্তব্য রাখেন সেন্ট্রাল ল কলেজের প্রতিনিধি আহাম্মদ আমীন রাহাত।
এছাড়া সকালে ছাত্র-জনতার শহীদী মার্চ ও শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয় সরকারি বিএল কলেজে। বিএল কলেজের শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে দেীলতপুর নতুন রাস্তার মোড় হয়ে বিএল কলেজ ক্যাম্পাসে এসে শহীদী মার্চ শেষ হয়।