গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ম্যাচ জেতানো এক ইনিংস খেলেছিলেন বিরাট কোহলি। ভারতও শিরোপা জিতে নিয়েছিল। এরপর সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন কোহলি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায় বলার পর টেস্ট ও ওয়ানডে থেকেও কোহলির অবসর নেওয়া নিয়ে আলোচনা সাম্প্রতিক সময়ে কম হয়নি।
ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় ভারত। সে সিরিজে ব্যাট হাতে ছন্দে ছিলেন না কোহলি। এরপর বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও ব্যাট হাতে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি কোহলি। পাঁচ ম্যাচের দশ ইনিংসে তিনি সেঞ্চুরি করেছেন কেবল একটি। বাকি ৯ ইনিংসে তিনি ২৩.৭৫ গড়ে করেছেন ১৯০ রান।
তখনই লাল বলের ক্রিকেট থেকে কোহলির অবসর নিয়ে নানা রকম আলোচনা শুরু হতে থাকে। ধারণা করা হয়েছিল, লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় বলতে পারেন কোহলি। পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর বিদায় বলতে পারেন ওয়ানডে ক্রিকেটকেও।
তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বেশ ছন্দে ছিলেন কোহলি। এক সেঞ্চুরি সহ দলের শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তিনি। ২০১৩ সালের পর ভারতও পেয়েছে প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দেখা।
আইসিসির টুর্নামেন্টে আরও এক শিরোপা জয়ের পর কোহলি এক অনুষ্ঠানে মুখ খুলেছেন অস্ট্রেলিয়া সিরিজের ব্যর্থতা ও নিজের অবসর নিয়েও। সম্প্রতি আরসিবি ইনোভেশন ল্যাবের এক অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় উপস্থাপক ইশা গুহের এক প্রশ্নের জবাবে কোহলি বলেন, ‘আমি কতটা হতাশ ছিলাম জানতে চাইলে আমি অস্ট্রেলিয়া সিরিজের কথা সবার আগে বলবো। আমার কাছে এটাই ছিল সবচেয়ে তীব্র হতাশার ব্যাপার।’
সবশেষ এ ধরনের হতাশ হয়েছিলেন ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফরের সময় বলেও জানিয়েছেন কোহলি। তিনি বলেন, ‘লম্বা সময় ধরে ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফরের স্মৃতি আমাকে ভুগিয়েছে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া সিরিজ নিয়ে আমি একইভাবে ভাবতে পারছি না। আমি হয়তো চার বছর পর আরও একটা অস্ট্রেলিয়া সিরিজ খেলবো না। তবে জীবনে যাই হোক না কেনো মেনে নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভয় পাবেন না। আমি কোনো ঘোষণা দিচ্ছি না। এখন পর্যন্ত সবকিছু ঠিক আছে। আমি এখনও খেলাটা খেলতে ভালোবাসি। আমি অর্জনের জন্য খেলাটি খেলি না। নিখাদ আনন্দ, তৃপ্তি ও খেলাটির প্রতি ভালোবাসা থেকেই খেলি। যতক্ষণ সেই ভালোবাসা অক্ষুণ্ণ থাকবে, আমি খেলা চালিয়ে যাব। এই বিষয়ে আমাকে নিজের সঙ্গে সৎ থাকতে হবে।’