দল কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে, এ সময় বাজপাখি হয়ে পেনাল্টি ঠেকিয়ে দিয়েছেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। কখনও প্রতিপক্ষকে নার্ভাস করে দেওয়ার জন্য বিশেষ কোনো নাচ, কখনওবা নিজের নার্ভাস ঢাকতে স্থির হয়ে থাকা– আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষককে তো ঠিক এভাবেই দেখে আসছেন সমর্থকরা। তা সেই মার্টিনেজ যখন ৩২৪ মিনিট পর জাতীয় দলের হয়ে গোল হজম করেন, যখন পেনাল্টি নিয়ে অসন্তুষ্ট থাকেন, তখন হেরে যাওয়ার পর মেজাজ ঠান্ডা রাখতে পারেননি তিনি।
ম্যাচের পর প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের সঙ্গে সৌজন্যের হাত মেলালেও টেলিভিশন ক্যামেরা সামনে চলে এলে সেটাকে ধাক্কা মারেন। সরাসরি সম্প্রচারে থাকায় ক্যামেরার মুখ ঘুরে যায়, যা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে চারপাশে। তবে ওই সময় নাকি সেই ক্যামেরাম্যানকেও চড় মারেন মার্টিনেজ। জনি জ্যাকসন নামে সেই ক্যামেরাম্যান ক্যারাকল টেলিভিশন ও আরসিএন ডিপোর্টসের হয়ে কাজ করেন। ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ফিফার কাছে চিঠি পাঠিয়েছে কলম্বিয়ার ক্রীড়া সাংবাদিকদের সংগঠন ‘অ্যাকর্ড’। সংগঠনটির দাবি ঘটনাটির জন্য শাস্তি দিতে হবে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষককে।
অবশ্য বিতর্ক তাঁর জন্য নতুন নয়। এর আগে বিশ্বকাপ জেতার পর ট্রফি নিয়ে তাঁর অশ্লীল ভঙ্গি সমালোচিত হয়েছিল। গত বছরের নভেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে মারাকানায় ব্রাজিল পুলিশের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। সেখানেও উত্তেজিত মার্টিনেজ কয়েকজনকে চড় মেরেছিলেন। মেজাজ হারিয়ে সেই একই কাণ্ড ঘটিয়েছেন এবার কলম্বিয়ার মাঠে।
‘ম্যাচের পর হঠাৎই সে আমাকে চড় মেরে বসেন। আমি ক্ষুব্ধ, আমি আমার কাজটিই করে যাচ্ছিলাম, যেমন তিনি তাঁর কাজ করেছিলেন। তিনি খেলেছিলেন আমি শুটিং করেছিলাম।’ আরসিএন স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এভাবেই হতাশা প্রকাশ করেন ওই ক্যামেরাম্যান।
‘ওই ঘটনার পর আমি মার্টিনেজকে একটা টেক্সট পাঠিয়েছি, লিখেছি– দিবু, আমার ভাই কেমন আছো? প্রত্যেকেই খেলোয়াড়ি জীবনে হার দখছে, যেটা তুমিও দেখেছ– এগিয়ে যাও।’ জনি জ্যাকসনের সেই টেক্সটের কোনো উত্তর দেননি মার্টিনেজ। যেমনটি ওই ঘটনাটা নিয়ে কোনো প্রতিবাদ কিংবা প্রতিক্রিয়াও দেয়নি কলম্বিয়ার ফুটবল সংস্থা এবং লাতিন আমেরিকার ফুটবল সংস্থাও।