মালয়েশিয়ায় প্রবল বৃষ্টির কারণে দেখা দেওয়া ব্যাপক বন্যায় অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এবং দেশব্যাপী এক লাখ ২২ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
দেশটির দুর্যোগ কর্মকর্তারা জানান, ভারি বৃষ্টি ও ঝড়ের সতর্কতা বহাল থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বন্যায় আটকা পড়া লোকজনকে উদ্ধারে জরুরি পরিষেবার হাজার হাজার সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে। উদ্ধার পাওয়া লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন ভিডিওতে পানিতে ডুবে যাওয়া ঘরবাড়ি ও গাড়ি দেখা গেছে, পাশাপাশি লোকজনকে কোমড় সমান পানি ভেঙে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে এগিয়ে যেতে দেখা গেছে; জানিয়েছে বিবিসি।
গত সপ্তাহের মাঝামাঝি শুরু হওয়া বন্যায় থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য কেলান্তন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোট বন্যাকবলিতদের মধ্যে ৬৩ শতাংশকে এ রাজ্যটি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৪ সালেও মালয়েশিয়ায় ব্যাপক বন্যা হয়েছিল। কিন্তু এবারের বন্যায় বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা ওই সময়ের চেয়ে বেশি।
দেশটির দুর্যোগ সংস্থা ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৬৭৯টি জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করেছে। বন্যায় তেরেঙ্গানু, কেদাহ, নেগেরি সেম্বিলান, পার্লিস, সেলাঙ্গর, জোহর, মেলাকা ও পেরাক রাজ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও বন্যা হচ্ছে। দেশটির ছয়টি প্রদেশে দুর্যোগ পরিস্থিতি ঘোষণা করা হয়েছে। থাইল্যান্ডের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বন্যায় ২ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজনকে উদ্ধারে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় নভেম্বর মাস থেকে বর্ষা ঋতু শুরু হয়। এ সময় বন্যা অস্বাভাবিক নয়। এর আগে ২০২১ সালেও দেশটিতে বন্যা হয়েছিল, তখন অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।