ওয়ার্ডের ভেতর অনেক রোগীর ভিড়ে দমবন্ধ করা পরিবেশ, তার মধ্যেই এক বেড থেকে আরেক বেডে ছুটছেন নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ। টর্চের আলোয় এক রোগীর মুখের ভেতরটা দেখেই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন আরেক রোগীর এক্সরে প্লেট নিয়ে।
তিনি ডা. বেলা প্রজাপতি; ভারতের আহমেদাবাদের ‘সিভিল হসপিটালে’ ভর্তি প্রায় ৪০০ রোগী মিউকরমাইকোসিস রোগীর চিকিৎসার দায়িত্ব তার ওপরই ন্যস্ত।
মিউকরমাইকোসিস হল ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাকের সংক্রমণ; বিরল অথচ প্রাণঘাতি এই রোগ করোনাভাইরাস মহামারীর পায়ে পায়ে ছড়িয়ে পড়েছে ভারতজুড়ে।
গত বসন্তে সংক্রমণের যে দ্বিতীয় ঢেউ ভারতকে একপ্রকার গ্রাস করে নিয়েছিল, তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না টিকিৎসকরা। মানুষের প্রাণ বাঁচাতে সে সময় মরিয়া চেষ্টা নিতে হয়েছে হাসপাতালগুলোকে। আর তাতেই প্রাণঘাতি আরেক ভয়ঙ্কর ব্যাধি মিউকরমাইকোসিস ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়েছিল বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
ডা. প্রজাপতির ভাষায়, “করোনাভাইরাসের এই মহামারী হঠাৎ করেই ডেকে এনেছে আরেক মহামারী।”
এই ছত্রাক বাসা বাঁধে মূলত মানবদেহে মৃত কলার ওপর। সে কারণেই এর আরেক নাম ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। ভারতে মাত্র তিন সপ্তাহের ব্যবধানে কালো ছত্রাকে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজারে পৌঁছায়।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী দেশটির রাজ্যগুলোতে গত কিছুদিনে অন্তত দুই হাজার ১০০ রোগীর মৃত্যু হয়েছে মিউকরমাইকোসিসে।
ভারতে কালো ছত্রাকে আক্রান্তদের শনাক্ত করে উচ্চমূল্যের ‘ছত্রাকনাশী’ ওষুধ দেওয়ার দায়িত্ব নয়াদিল্লির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওপর। মৃত্যুর কোনো সংখ্যা তারা এখনও প্রকাশ করেনি।
ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পার্থক্যটা অত্যন্ত নগ্নভাবে দেখিয়ে দিয়েছে করোনাভাইরাসের মহামারী। ভারতের মিউকরমাইকোসিস মহামারী এর একটি উদাহরণ।
পর্যাপ্ত বরাদ্দের অভাবে ভারতের স্বাস্থ্য খাতের স্বাস্থ্য আগে থেকেই দুর্বল, তার মধ্যেই গত এপ্রিলে আঘাত হানে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। সংক্রমণ আর মৃত্যু বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে শয্যা, অক্সিজেন, আইসিইউ আর প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রীর অভাব আরও স্পষ্ট হতে থাকে।
এর মধ্যেই ভারতের ১৪০ কোটি মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার কঠিন কাজটি আরও বেশি কঠিন করে তোলে মিউকরমাইকোসিস।
ভারতের বিপুল জনসংখ্যার খুব সামান্য একটি অংশ এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের টিকা পেয়েছেন। ফলে সংক্রমণের সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউ এবং তার প্রভাবে সব ধরনের বিপদের ঝুঁকিই তাদের সামনে রয়েছে।
মহামারী বিশেষজ্ঞ ডা. দিলীপ মাভালাঙ্কার বলছেন, “করোনাভাইরাসের বিস্তার কমে এলে মিউকরমাইকোসিসও কমে আসবে। কিন্তু কেন এটা হচ্ছে তা যদি আমরা বের করতে না পারি, তাহলে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে এটা আবারও ফিরে আসতে পারে।”
কালো ছত্রাক কীভাবে এমন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠল, সে বিষয়ে ভারতের অনেক চিকিৎসকেরই নিজস্ব একটি ধারণা আছে।
হাড় এবং প্রাণ কোষ খেকো এই ছত্রাক পাকস্থলী, অন্ত্র, ফুসফুস, চামড়া এবং সাইনাসে আক্রমণ করতে পারে। সময়মত চিকিৎসা না করলে এটা চক্ষুকোটর এবং মস্তিষ্কেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এর চিকিৎসাও বেশ জটিল। বেশিরভাগ সময় রোগীকে বাঁচাতে গিয়ে অস্ত্রোপচার করে তার কোনো অঙ্গ কেটে ফেলতে হয়। এর ওষুধ অপ্রচলিত এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এ রোগে মৃত্যু হার ৫০ শতাংশের বেশি।
মিউকরমাইকোসিস মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না। কালো ছত্রাক আমাদের চারপাশে সবসময়ই আছে। বাড়ি কিংবা হাসপাতালে সাধারণভাবেই এ ছত্রাক তৈরি হতে পারে, সেখান থেকে ছড়াতে পারে এর স্পোর।
চিকিৎসকদের ধারণা, ভারতের জনাকীর্ণ হাসপাতালগুলোর পরিবেশ এবং মেডিকেল অক্সিজেনের ঘাটতিই কালো ছত্রাকের এই ব্যাপক সংক্রমণের পথ করে দিয়েছে। এর সঙ্গে আছে স্টেরয়েড।
কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় স্টেরয়েডের ব্যবহার বিশ্বজুড়েই স্বীকৃত। ফুসফুসের প্রদাহ কমিয়ে এ ওষুধ রোগীর জীবন বাঁচাতে পারে, একটু সহজে শ্বাস নিতে সহায়তা করতে পারে।
শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যখন করোনাভাইরাসকে ঠেকাতে অনেক বেশি শক্তি ব্যবহার করে, তখন শরীরের কিছু ক্ষতি হয়। স্টেরয়েড দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দমিয়ে রেখে সেই ক্ষতি কমাতে অনেক ক্ষেত্রে সহায়ক হয়।
কিন্তু স্টেরয়েড যখন দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সাময়িকভাবে দমিয়ে রাখছে, সেই সুযোগেই মিউকরমাইকোসিসের সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে বলে অনেক চিকিৎসকের ধারণা। আর কতটা স্টেরয়েড ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটাও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতে ‘মিউকরমাইকোসিস’ সংক্রমণ নিয়ে এক গবেষণায় জড়িত অনুজীববিজ্ঞানী অরুণালোক চক্রবর্তী বলেন,
অক্সিজেন সঙ্কটের মধ্যে ভারতে অনেক চিকিৎসক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ স্টেরয়েড রোগীদের ওপর প্রয়োগ করেছেন। আর রোগীদের স্টেরয়েড দেওয়া হচ্ছে অনেক বেশি সময় ধরে। তাতে ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়ছেন রোগীরা।
স্টেরয়েড আরও দুইভাবে মিউকরমাইকোসিসের ঝুঁকি বাড়ায়। যাদের ডায়াবেটিস আছে এবং যাদের নেই, সবার রক্তেই চিনির পরিমাণ অতি মাত্রায় বাড়িয়ে দিতে পারে স্টেরয়েড। আর রক্তে শর্করা যাদের বেশি, তাদের কালো ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি এমনিতেই বেশি।
চিকিৎসক বেলা প্রজাপতি জানান, স্টেরয়েড প্রয়োগে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকিও বেড়ে যেতে পারে। তাতে কলতন্ত্র পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না। আর দুর্বল টিস্যু হয় ছত্রাক সংক্রমণের প্রধান লক্ষ্য।
কোভিড আক্রান্তদের বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টায় চিকিৎসকরা অনেক সময় স্টেরয়েড দেওয়ার আগে জানার সুযোগই পান না রোগীর ডায়াবেটিস কিংবা অন্যান্য জটিলতা আছে কি না।
অনুজীববিজ্ঞানী অরুণালোক চক্রবর্তী বলেন, কোভিড নিয়ে কোনো রোগী ভর্তি হলে জরুরিভিত্তিতে তার শ্বাসতন্ত্রের সুরক্ষা দিতেই ব্যস্ত থাকেন চিকিৎসকরা। অন্যসব জটিলতা দেখার সুযোগ তাদের প্রায়ই হয় না।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুয়ায়ী, সেখানে মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত পাঁচজনের মধ্যে চারজনই কোভিড- ১৯ রোগী, যাদের অর্ধেকের বেশির ডায়াবেটিস আছে।
সিভিল হসপিটালে চিকিৎসাধীন তরুণ প্রকৌশলী অলোক কুমার চৌধুরী সেই সব রোগীদের একজন, যারা কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর কালো ছত্রাকের শিকারে পরিণত হয়েছেন। ৩০ বছর বয়সী অলোকের বাঁ চোখে দেখা গেল ব্যান্ডেজ, শিরায় সুচ বিঁধিয়ে দেওয়া হচ্ছে ফোটায় ফোটায় ওষুধ।
গত এপ্রিলে ভারত যখন সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কবলে পড়ল, অলক তখন নয়াদিল্লিতে সরকারি চাকরির জন্য পরীক্ষার পস্তুতি নিচ্ছিলেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর দিল্লির হাসপাতালে শয্যা, অক্সিজেন ও ওষুধের ঘাটতির কারণে তিনি ট্রেনে চেপে গুজরাটে বড় ভাইয়ের বাড়িতে চলে যান।
সেখানে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৫৪ শতাংশে নেমে এলে মৃত্যুর কাছাকাছি পৌঁছে যান এই তরুণ। স্থানীয় একটি হাসপাতালে অক্সিজেন সাপোর্ট থেকে স্টেরয়েডের চিকিৎসা নিয়ে দুই সপ্তাহে তিনি করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত হন। কিন্তু এরপর থেকেই মাথার বাঁ দিকে শুরু হয় তীব্র ব্যথা।
চিকিৎসকরা ভেবেছিলেন, স্টেরয়েডের কারণে হয়ত এমনটা হয়েছে, অলক দ্রুতই সেরে উঠবেন।
কিন্তু হঠাৎ করেই অলক তার বাঁ চোখের দৃষ্টিশক্তি হারান। পরে এমআরআই পরীক্ষায় তার মিউকরমাইকোসিস শনাক্ত হয়। চিকিৎসকরা জানান, তার চোখ ফেলে দিতে হবে।
এরপর তিনি সিভিল হসপিটালে যান। অস্ত্রোপচারে পাঁচজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মিলে তার ‘সাইনাস’ থেকে ‘মৃত কোষ’ বের করে আনেন। বাকি সংক্রমণ দূর করতে তাকে ছত্রাকনাশী ‘অ্যামফোটারিসিন বি’ ওষুধের ১৫ দিনের কোর্স দেওয়া হয়।
অনুজীববিজ্ঞানী অরুণালোক চক্রবর্তী বলেন, অলোক কুমার যদি তার চোখ ফেলতে রাজি না হতেন, তাহলে হয়ত জীবনটাই হারাতেন। কারণ চোখ ফেলে না দিলে তার চোখের পেছনে সংক্রমণের পাতলা স্তরটি সরানো যেত না।
অলোক কুমার বলেন, “আমি বাঁ চোখের দৃষ্টি হারিয়েছি, লেখাপড়ায় অসুবিধা হচ্ছে। আমি অবশ্যই জানতে চাই কেন আমার মিউকর হয়েছিল। যদি সেটা ভুল চিকিৎসার কারণে হয় তাহলে এর দায় কাউকে নিতে হবে।”
অনুজীববিজ্ঞানী অরুণালোক চক্রবর্তীর যে গবেষণায় যুক্ত ছিলেন, সেই গবেষণা প্রতিবেদন এ মাসেই ইউএস সেন্টার্স ফর ডিজিজেস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, স্টেরয়েডের অতি ব্যবহার, ডায়াবেটিস এবং কিছু হাসপাতালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সম্পর্ক রয়েছে ভারতের এই কালো ছত্রাকের মহামারীর পেছনে।
করোনাভাইরাসের মহামারীর আগেও ভারতে বছরে গড়ে মিউকরমাইকোসিস সংক্রমণের ৫০ জন রোগী পাওয়া যেত। পশ্চিম ইউরোপ কিংবা যুক্তরাষ্ট্রে এ সংখ্যা দুই বছরে একজন।
এই যে পার্থক্য, এর পেছনে পরিবেশ ও ডায়াবেটিস দুটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। ভারতে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের হার যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় দ্বিগুণ।
ভারতে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে যারা মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত হতেন, তারা হয় নিজেদের শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে পুরোপুরি জানতেন না, নয়ত ঠিকমত ইনসুলিন নিতেন না।
কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে যারা এ ছত্রাকের শিকার হয়েছেন, তাদের অনেকেরই ডায়াবেটিস ছিল না। চিকিৎসক এবং গবেষকরা বলছেন, এখানে মূল বিষয় হয়ে উঠেছে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় স্টেরয়েডের ব্যবহার।
গত মে মাসে গুজরাটের আহমেদাবাদে ‘মিউকরমাইকোসিসকে’ মহামারী ঘোষণা করা হয়। অন্যান্য রাজ্যেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। আক্রান্ত রোগীর বাঁচা-মরার বিষয়টি নির্ভর করে কত তাড়াতাড়ি অস্ত্রোপচার করে ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলো সরিয়ে দুই সপ্তাহের জন্য ‘অ্যামফোটেরিসিন বি’ ওষুধের প্রয়োহ শুরু করা হয়, তার ওপর।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই রোগকে নতুন ‘চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, “এটা ঠেকাতে একটা ব্যবস্থা দাঁড় করাতে হবে।”
ভারতে অ্যামফোটেরিসিন বির সরবরাহ নিতান্তই সামান্য। কিছু সরকারি হাসপাতালে এ ওষুধ বিনামূল্যে পাওয়া যায়। সরবরাহে ঘাটতি থাকায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে ওষুধটি আমদানি করতে হয়, সেখানে এর প্রতি ভায়ালের দাম ৩০০ ডলার।
সুস্থ্ হয়ে উঠতে প্রত্যেক রোগীকে এ ওষুধের ৬০ খেকে ১০০ ভায়াল নিতে হয়। এর উৎপাদক কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের গিলিয়াড সায়েন্সেস দুই লাখ ভায়াল অ্যামফোটেরিসিন বি ভারতকে অনুদান হিসেবে দিয়েছে।
ভারতের চিকিৎসকরা এর পরিবর্তে সমান কার্যকর সস্তা ওষুধও ব্যবহার করছেন। কিন্তু সে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় কিডনি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকছে।
আহমেদাবাদের স্টার্লিং হাসপাতালে ‘মিউকরমাইকোসিস’ আক্রান্ত কয়েক ডজন রোগীর চিকিৎসা করা সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অতুল প্যাটেল বলেন, কিডনি বিকল হওয়ার ঝুঁকি নিয়েই রোগীকে অন্য ওষুধ দেওয়ার সিদ্ধান্ত তাদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক।
অরুণালোক চক্রবর্তীর সঙ্গে একই গবেষণায় যুক্ত থাকা প্যাটেল জানান, ডায়রিয়া কিংবা জ্বরের রোগীকে যে ধরনের স্টেরয়েড দেওয়া হয়, করোনাভাইরাসের মাঝারি মাত্রার সংক্রমণেও সেই একই ওষুধ দিচ্ছেন অনেক চিকিৎসক, যদিও ওই মাত্রার রোগীর স্টেরয়েড প্রয়োজন নেই।
প্যাটেলের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর ক্ষেত্রেও ওই ঘটনাই ঘটেছে। গুজরাটের এক গ্রামের কৃষক পরিবারের সদস্য ৬০ বছর বয়সী আম্বাবেন হীরাবাঈকে এখন স্টার্লিং হাসপাতালে ছত্রাকের চিকিৎসাসহ অন্যন্য সেবার জন্য প্রতিদিন ৭০০ ডলার (৬০ হাজার টাকা) করে দিতে হচ্ছে।
এই রোগীর ক্ষেত্রে ছত্রাকের সংক্রমণের সঙ্গে ডায়াবেটিসের কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাননি সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অতুল প্যাটেল। অনেক খরচ হলেও কোভিড-১৯ এর পর ‘মিউকরমাইকোসিস’ সংক্রমিত হওয়ায় তিনি কোনো ঝুঁকি নেননি।
প্রচণ্ড মাথাব্যথা আর মুখে অসাড়তা নিয়ে গত ১৭ মে হাসপাতালে আসেন আম্বাবেন হীরাবাঈ। জুনের শুরুতে তিনি প্রথমবার একটু ভালো বোধ করার কথা জানান।
ডা. অতুল প্যাটেল সম্পর্ক এই রোগীর ভাষ্য: “তিনিতো আমার কাছে ঈশ্বরের মত।”