
যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করলে দেশটির নাগরিকত্ব প্রাপ্তির যে আইন প্রচলিত ছিল, তা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, তিনি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তথাকথিত জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের বিধান বাতিল করার পরিকল্পনা করছেন। এছাড়াও দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই ২০২১ সালে ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গায় জড়িতদের ক্ষমার দিকে নজর দেবেন বলে জানান তিনি।
সেই দাঙ্গায় জড়িত থাকার জন্য দোষী সাব্যস্ত কয়েকশ লোককে ক্ষমা করতে চাইবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘এই মানুষগুলো নরকযন্ত্রণা ভোগ করছে। আমরা মামলাগুলো দেখব। হ্যাঁ, আমি খুব দ্রুত পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। আর সেটা প্রথম দিনেই।’
এদিকে নাগরিকত্ব নীতির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া যে কেউ তার বাবা-মা অন্য দেশে জন্মগ্রহণ করলেও মার্কিন পাসপোর্ট তথা নাগরিকত্ব পেয়ে থাকেন। জন্মগত নাগরিকত্বের বিধানটির মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীতে নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ সংশোধনীতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ‘জন্মগ্রহণকারী সব ব্যক্তিই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। এ বিষয়ে ট্রাম্প বলছেন, ‘এই নিয়ম বদলাতে হবে।’ তবে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন সংক্রান্ত আইনজীবীরা বলছেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ হবে মার্কিন সংবিধানবিরোধী এবং যদি ক্ষমতা গ্রহণের পর সত্যিই এটি কার্যকর হয়, তাহলে সংবিধান লঙ্ঘনের মতো গুরুতর ঘটনা ঘটবে।
যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারীদের নাগরিকত্ব পাওয়ার যে প্রক্রিয়া রয়েছে সেটি বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিলেও তিনি যুক্তরাষ্ট্রে শিশু অবস্থায় নিয়ে আসা নথিপত্রবিহীন কিছু অভিবাসীকে সহায়তায় ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
এছাড়াও রেকর্ড করা এই বিস্তৃত ইন্টারভিউতে ট্রাম্প বলেন, আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরও অভিবাসন, জ্বালানি ও অর্থনীতিসহ ‘অনেকগুলো’ নির্বাহী আদেশ জারি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
গত নভেম্বরের নির্বাচনে জয়লাভের পর এই প্রথম কোনো সম্প্রচার নেটওয়ার্কে ইন্টারভিউ দিলেন সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।