আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। শেষ সময়ের জরিপে ডেমোক্রেটিক দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছেন। গার্ডিয়ানের নতুন জরিপে কমলা ৪৮.২ শতাংশ ও ট্রাম্প ৪৪.৪ শতাংশ সমর্থন অর্জন করেছেন। এক্ষেত্রে ট্রাম্পের চেয়ে কমলা ৩.৬ শতাংশ এগিয়ে আছেন। জরিপটি ১০ দিন ধরে পরিচালিত হয়।
গার্ডিয়ান বলছে, সাম্প্রতিক জরিপগুলোতে কমলা এগিয়ে থাকলেও বেশির ভাগ দোদুল্যমান রাজ্যে দুই প্রার্থীকে সমানে সমান সমর্থন পেতে দেখা গেছে। পোলিং বিশ্লেষণ ওয়েবসাইট ফাইভ থার্টি এইটের জরিপেও কমলা ২ দশমিক ৯ শতাংশের সমর্থন নিয়ে এগিয়ে ছিলেন। এই জরিপে কমলা ৫৮ শতাংশ ও ট্রাম্প ৪২ শতাংশ সমর্থন পান।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো– জনগণের ভোটে নির্বাচিত ইলেকটোরাল কলেজগুলো (৫৩৮টি) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত ভোট প্রয়োগ করে থাকে। এই প্রক্রিয়ায় ২০০০ সালে জর্জ ডব্লিউ বুশ পরাজিত করেছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী আল গোরকে। জনপ্রিয় ভোটে আল গোর দেশব্যাপী ৫ লাখ ৪০ হাজার ভোটে এগিয়ে থাকলেও ইলেকটোরাল ভোটে হেরে যান। একইভাবে ২০১৬ সালে ট্রাম্প হিলারি ক্লিনটনের চেয়ে ২৭ লাখ ভোট কম পেয়েও প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। কারণ ট্রাম্প পেনসিলভানিয়া, মিশিগান ও উইসকনসিন রাজ্যে ইলেকটোরাল ভোটে জিতে যান।
অন্যদিকে রিপাবলিকানপন্থি একটি জরিপেও ট্রাম্পের চেয়ে কমলা হ্যারিস এগিয়ে আছেন। রিপাবলিকানদের প্রতিষ্ঠিত ইচেলন ইনসাইটস এই জরিপটি পরিচালনা করেছে। এতে দেখা গেছে, ৫২ শতাংশ সমর্থন নিয়ে এগিয়ে আছেন কমলা এবং ট্রাম্প ৪৫ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়েছেন। এই জরিপের ৩৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলেছেন তারা অবশ্যই ট্রাম্পকে ভোট দেবেন। বিপরীতে ৪৫ শতাংশ কমলার পক্ষে মতপ্রকাশ করেছেন।
এদিকে ২০১৬ সালের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এমন শঙ্কাও রয়েছে ডেমোক্র্যাটদের অনেকের। বিষয়টি যদি সত্য হয়ে দেখা দেয়, তাহলে ডেমোক্র্যাটদের জন্য তা হবে একটি দুঃস্বপ্ন। সিএনএনের ডেটা বিশ্লেষক হ্যারি এন্টেন বলেন, ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজে জিতে আসাটাই হবে আসল প্রতিযোগিতা। সেক্ষেত্রে কমলার চেয়ে ট্রাম্পের এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা বেশি।