যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পুনরায় প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কে রাজি হয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। তবে দ্বিতীয় টিভি বিতর্কে অংশ নেবেন না বলেছেন ট্রাম্প। শনিবার নর্থ ক্যারোলিনায় অনুষ্ঠিত এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, আরেকটি বিতর্কের জন্য অনেক দেরি হয়ে গেছে। কারণ, এরই মধ্যে ভোট শুরু হয়ে গেছে।
কমলার প্রচারণা দল বলেছে, ট্রাম্পের সঙ্গে আরেকবার বিতর্কে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত কমলা। আজ সিএনএন আয়োজিত বিতর্কটির আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন কমলা। যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৫ নভেম্বর। কিন্তু গত শুক্রবার থেকে কোনো কোনো রাজ্যে সশরীরে আগাম ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।
এক বিবৃতিতে কমলা-ওয়ালজ প্রচারণার চেয়ার জেন ও’ম্যালি ডিলন বলেছেন, নভেম্বরের নির্বাচনের আগে হ্যারিস ও ট্রাম্পের বিতর্ক দেখার জন্য আমেরিকানদের আরেকটি সুযোগ প্রাপ্য। আধুনিক ইতিহাসে এটা নজিরবিহীন হবে যদি একটি বিতর্ক হয়। এর আগে এক্সে কমলা বলেছেন, তিনি আনন্দের সঙ্গে বিতর্কের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন এবং আশা করছেন ট্রাম্পও অংশগ্রহণ করবেন।
তবে শনিবারের জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়েও আগের বিতর্কে জয়ের দাবি করেন ট্রাম্প। বলেন, কমলা নতুন করে বিতর্কের আমন্ত্রণ গ্রহণ করছেন কারণ, আগেরবার তিনি বড় ব্যবধানে হেরেছেন।
সিএনএন বলেছে, সম্ভাব্য বিতর্কটি সেই একই ফরম্যাটে হবে, যেমনটি তারা জুন মাসে ট্রাম্প এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে আয়োজন করেছিল। ওই বিতর্কে বাইডেনকে ধরাশায়ী করেন ট্রাম্প।
এদিকে আগামী ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভাইস প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্ক। এতে অংশ নিচ্ছেন কমলার রানিং মেট এবং মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ ও ওহিওর সিনেটর জেডি ভ্যান্স। এ নিয়েও চরম উত্তেজনার মধ্যে রয়েছে মার্কিনিরা।
অন্যদিকে, দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে (ব্যাটল গ্রাউন্ড নামেও পরিচিত রাজ্যগুলোতে) জয়ের মাধ্যমে কমলাকে হারাতে পারেন ট্রাম্প। সর্বশেষ জরিপে এমন চিত্রই দেখা গেছে। ইমারসন কলেজের ১৫ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর সাতটি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের জরিপে দেখা যায়, ট্রাম্প পাঁচটিতে এগিয়ে আছেন। এসব রাজ্যে তিনি ২৮১টি ইলেক্টরাল ভোট পাবেন। আর এর মাধ্যমে তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য ম্যাজিক সংখ্যা ২৭০ অতিক্রম করতে পারেন।