যুক্তরাষ্ট্রের লুইসিয়ানার দক্ষিণাঞ্চলে ১২০ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড় ফ্রান্সিন আঘাত হেনেছে। এর প্রভাবে ভয়াবহ বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কায় পূর্বাভাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার ঘূর্ণিঝগের প্রভাবে ও জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বাসিন্দারা জরুরি ভিত্তিতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং প্রয়োজনীয় পণ্য মজুত শুরু করেছেন।যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঘূর্ণিঝড় পূর্বাভাস কেন্দ্রের (এনএইচসি) জানিয়েছে,লুইজিয়ানার দক্ষিণ প্রান্তে ঘূর্ণিঝড় ফ্রান্সিন স্থানীয় সময় বুধবার বিকেল ৫টায় আঘাত হানে। ক্যাটাগরি-২ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে এটি স্থলভাগে আঘাত হানে। এ সময় এর গতিবেগ ছিল ১০০ মাইল (১৫৫ কিলোমিটার)।
এনএইচসির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রদেশের কিছু জায়গায় ১২ ইঞ্চি বৃষ্টি ও ১০ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস পারে। ফলে বাসিন্দাদের ঘরে থাকার এবং জানালা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।এনএইচসি জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে এটি লুইজিয়ানা ও পার্শ্ববর্তী মিসিসিপির ওপর দিয়ে অগ্রসর হয়ে ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়বে।রয়টার্স জানিয়েছে, লুইজিয়ানায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন স্থানীয় গভর্নর জেফ ল্যান্ড্রি। এর আগে মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছ থেকে জরুরি অবস্থা ঘোষণার অনুরোধ করা হলে তিনি তা তাৎক্ষণিকভাবে অনুমোদন করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে তিনি বলেন, কেন্দ্র সরকারের এ সহায়তা জীবন ও সম্পদ বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এক্সে এক পোস্টে লুইজিয়ানা ন্যাশনাল গার্ড জানিয়েছে, সেনারা লুইজিয়ানা ন্যাশনাল গার্ড জ্বালানিসজ যানবাহন প্রস্তুত রেখেছে। এর আগে তারা অনুসন্ধান, উদ্ধার, দুর্গত মানুষকে সরিয়ে নেওয়া এবং জরুরি জিনিসপত্র সরবরাহের জন্য নৌকা ও হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখার কথা জানিয়েছিল।