হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন মধ্যপ্রাচ্য ত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার দোহা থেকে ওয়াশিংটন ফিরে আসার মাধ্যমে তার এবারের সফর শেষ হয়।
দেশে ফেরার আগে দোহায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করা জরুরি। ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে, এখন হামাসকে সেটি গ্রহণ করতে হবে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত করতে যুক্তরাষ্ট্র জোরালো প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার অংশ হিসেবেই গত রোববার ইসরায়েল ভ্রমণ করেন ব্লিংকেন। এর পর মিসর ও কাতারে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আলোচনায় হামাস প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেনি।
তিনি বলেছেন, গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত করা এখন ‘সময়ের দাবি’। চুক্তি বাস্তবায়ন হলে ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে ১০ মাসের বেশি সময় ধরে চলা সংঘর্ষের অবসান হবে বলে আশা করেন তিনি এবং অন্য মধ্যস্থতাকারীরা। আলোচনা চলমান থাকবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয়।
এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতিতে শর্তের সমালোচনা করেছেন উচ্চপদস্থ মার্কিন এক কর্মকর্তা। তিনি নেতানিয়াহুর শর্তকে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের জন্য গঠনমূলক নয় বলে উল্লেখ করেছেন। ব্লিংকেনের সঙ্গে বৈঠকে নেতানিয়াহু গাজায় তাঁর সেনা বহালের শর্ত দিয়েছেন। সোমবার বৈঠকের পর জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এমন শর্তের কথা উল্লেখ করেন নেতানিয়াহু।
ইউক্রেনকে সম্পূর্ণ পরাজিত না করে কোনো আলোচনা নয়: রাশিয়া ইউক্রেনকে সম্পূর্ণ পরাজিত না করে কোনো আলোচনা নয়: রাশিয়া
অন্যদিকে, সর্বশেষ প্রস্তাবে ইসরায়েলের দাবির প্রতিফলনই বেশি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছে হামাস। মঙ্গলবার তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে তারা অনিচ্ছুক বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে মন্তব্য করেছেন, তা ‘বিভ্রান্তিকর’। কারণ, যুদ্ধবিরতি আলোচনায় হামাসের অন্যতম দাবি, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার অগ্রাহ্য করে আসছে দেশটি। ফলে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা এখনও অধরাই রয়ে গেল।