গাজা, ইউক্রেন, সুদানসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে চলছে যুদ্ধ-সংঘাত। এগুলো থামাতে কার্যত ব্যর্থ হচ্ছে বিশ্বশক্তিগুলো। এ প্রেক্ষাপটে আজ মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরু হচ্ছে। অধিবেশনে এসব সহিংস পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার ইস্যুটি সর্বাগ্রে গুরুত্ব পাবে।
সোমবার দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, সার্বিক বিবেচনায় গত বছরের অধিবেশনের তুলনায় এবার বিশ্বজুড়ে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা বেড়েছে। তখন ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন ও সুদানে সংঘাত পটভূমিতে ছিল। এবারের চিত্র ভিন্ন। গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা ও জবাবে গাজায় ইসরায়েলের নৃশংসতায় যে মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে, সেটা এবার আলোচনায় প্রাধান্য পেতে পারে।খোদ জাতিসংঘই আছে মহাসংকটে। তাদের রেকর্ড ২২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী গাজা যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। তাদের মানবিক সহায়তার উৎসগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থ জমা পড়ছে না। জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় পর্যাপ্ত তহবিল নেই তাদের। তাছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘাত মোকাবিলায় জাতিসংঘের নেতারা মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় গিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে গত সপ্তাহে সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জগুলো আমাদের সামর্থ্যের চেয়ে বেশি গতিতে এগোচ্ছে। নিয়ন্ত্রণের বাইরে ভূরাজনৈতিক বিভাজন আমরা দেখেছি। এটা ঘটেছে গাজা, ইউক্রেন, সুদান ছাড়াও অন্যান্য স্থানে।এবারের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শেষবারের মতো ভাষণ দেবেন। ইউরোপের কয়েকটি দেশ ছাড়া সাধারণ পরিষদের অধিকাংশ দেশ ইসরায়েলের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের অকুণ্ঠ সমর্থনের কঠোর বিরোধিতা করে আসছে।তাঁর সময়ে যুক্তরাষ্ট্র গাজায় বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে ভেটো দিয়ে আটকে দিয়েছিল। গাজায় যেখানে একটি যুদ্ধবিরতি আনতে ব্যর্থ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, সেখানে নতুন করে লেবাননে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।