খুলনার শহরের দেয়ালে দেয়ালে এখন যেন এক নতুন দিনের বার্তা। সারা শহর জুড়ে ভোরের আলোতে জেগে উঠছে নানা রঙের আলপনা আর দৃষ্টিনন্দন ক্যালিগ্রাফি। যে দেয়ালগুলোতে আগে রাজনৈতিক দলের প্রচারণা ও বিভিন্ন নেতা-নেত্রীর ছবিতে ছেয়ে যেত, সেগুলো এখন নতুন রূপে সেজেছে। আর এই পরিবর্তনের পেছনে রয়েছেন খুলনার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো শহরের সৌন্দর্যবর্ধন ও নাগরিকদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করা। রাজনৈতিক পোস্টার, বিজ্ঞাপন কিংবা দেয়াল লিখনের বদলে শিক্ষার্থীদের কল্পনাশক্তি আর সৃষ্টিশীলতার প্রকাশ ঘটছে দেয়ালগুলোর প্রতিটি ইঞ্চিতে। নগরবাসীও এই পরিবর্তনে মুগ্ধ। তাদের মতে, এ যেন এক নতুন খুলনার সূচনা, যেখানে শিক্ষার্থীদের কর্মপ্রবণতা এবং সৃষ্টিশীলতা নতুন আশার সঞ্চার করছে।
গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখে হাসিনা সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় শিক্ষার্থীরা সারা দেশকে নতুন করে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে। আর এরই অংশ হিসেবে খুলনা শহরের দেয়ালগুলো সেজেছে নতুন সাজে।
শহরের বাসিন্দারা বলছেন, তারা যেন এক নতুন খুলনার মুখোমুখি হচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগের ফলে শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যা পুরো নগরবাসীর মন জয় করেছে। আগে যেসব দেয়াল রাজনৈতিক প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত হতো, এখন সেগুলো পরিণত হয়েছে ক্যানভাসে। শিক্ষার্থীরা নিজেরাই এগিয়ে এসে খুলনার প্রতিটি কোণায় যোগ করেছেন শিল্পের ছোঁয়া।
খুলনার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ির দেয়াল ও সীমানা প্রাচীরে আলপনা আর ক্যালিগ্রাফিতে কাজ করছেন খুলনা সরকারী বিএল কলেজের ইসরাত ইরিন, হুমায়রা, ঐশী, জাহিদসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
এ কাজে মুল সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক বুশরা।
এভাবে, রাজনৈতিক পোস্টার ও বিজ্ঞাপনের পোস্টারের জায়গায় আলপনা আর ক্যালিগ্রাফি দিয়ে নতুন করে গড়ে উঠেছে খুলনা, যা দেশব্যাপী এক নতুন আশার আলো জ্বালাচ্ছে।