হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত হওয়ার পর সৈয়দ ইব্রাহিম রাইসি নামক ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্ট (আগের নাম টুইটার) থেকে পবিত্র কোরআনের সুরা আস-সাফফাতের ৩টি আয়াত প্রচার করা হয়।
সোমবার (২০ মে) বেলা ১১টার দিকে পবিত্র কোরআনের ৩৭ নম্বর সুরা আস-সাফফাতের ১০৯-১১১ নং আয়াত প্রচার করা হয়। আয়াতগুলো হলো-
سَلَامٌ عَلَىٰ إِبْرَاهِيمَ
كَذَٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ
إِنَّهُ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ
অর্থ : ইব্রাহীমের উপর শান্তি বর্ষিত হোক
নিশ্চয় আমি এইভাবে সৎকর্মপরায়ণদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি
নিশ্চয় সে আমার মুমিন বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত (সুরা (সাফফাত: ১০৯-১১১)
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খোমেনির পর ইসলামিক রিপাবলিকের রাজনৈতিক কাঠামোতে রাইসি ছিলেন দ্বিতীয় শক্তিশালী ব্যক্তি। গতকাল রোববার (১৯ মে) আজারবাইজান ও ইরানের সীমান্তবর্তী এলাকায় নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধনে যান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। মোট তিনটি হেলিকপ্টারে ওই এলাকায় পৌঁছান প্রেসিডেন্ট এবং তার সফর সঙ্গীরা। বাঁধ উদ্বোধন শেষে পূর্ব আজারবাইজানের রাজধানী তাবরিজে ফেরার উদ্দেশে আকাশে উড়াল দেয় হেলিকপ্টারগুলো।
এরমধ্যে দুটি কপ্টার গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারলেও বিধ্বস্ত হয় প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি। পুরো হেলিকপ্টারটি পুড়ে গেছে। কাউকে জীবিত পাওয়ার সম্ভাবনা একদমই নেই। ইরানের আধা-সরকারি বার্তাসংস্থা মেহর নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি ‘শহীদ’ হয়েছেন। সঙ্গে হেলিকপ্টারে থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ অন্য আরোহীরাও ‘শহীদ’ হয়েছেন।
ইব্রাহিম রাইসির জন্ম ১৯৬০ সালের ১৪ ডিসেম্বর উত্তর-পূর্ব ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি তেহরানের পার্শ্ববর্তী শহর কারাজের প্রসিকিউটর-জেনারেল নিযুক্ত হন। ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান নিযুক্ত করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।
প্রেসিডেন্ট রাইসি পরবর্তীতে ৮৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞ সভার উপচেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা নির্বাচনসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে এ সভা। ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে তিনি ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।