বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। এর মধ্যেই ক্যাম্পাসে কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্রদল। আজ সোমবার সংগঠনের নেতাকর্মী নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়েছে। তারা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ফুল, কলম ও রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা দাবির প্রচারপত্র বিতরণ করেছে। এদিনই ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
জানা গেছে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কোনো কমিটি নেই। তবে কমিটি গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে। সংগঠনের পদপ্রত্যাশী কর্মীরা চারটি দলে বিভক্ত হয়ে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করছেন। তাদের মধ্যে তিনটি পক্ষ আলাদা অবস্থান নিয়ে গতকাল নবীনদের শুভেচ্ছা জানায়। কর্মসূচিতে অংশ নেন সাবেক সভাপতি রেজা শরীফ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসিব ও ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল নওরীন অনুসারীরা। এ ছাড়া অপর পক্ষ রাফি সিকদার অনুসারী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালায়। তবে নবীনদের বরণে ক্যাম্পাসে অন্য কোনো ছাত্র সংগঠনের তৎপরতা ছিল না।
সভাপতি পদপ্রত্যাশী হোসাইন শান্ত বলেন, যেহেতু ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ, তাই তারা নিয়ম মেনে ক্যাম্পাস সীমানার বাইরে থেকে নবীনদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তাঁর কাছে অধিকাংশ সময় ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি অপর তিনটি পক্ষকে দোষারোপ করেন। তাঁর মতোই প্রতিন্দ্বন্দ্বী পক্ষের ঘাড়ে দোষ চাপান অন্যরাও।
এ বিষয়ে জানতে উপাচার্যের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ। ছাত্রদলের কেউ ক্যাম্পাসে ঢুকে নবীনদের বরণ করেছে কিনা জানা যায়নি। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের ডেকে কাউন্সেলিং করা হবে।