রামপালের ঝনঝনিয়া চেয়ারম্যান মোড়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১৬ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে বিএনপি সমর্থিত দুই গ্র“প পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান নেয়। গুরুতর আহত ৭ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে রামপাল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে উপজেলার ঝনঝনিয়া চেয়ারম্যান মোড়ে একটি মৎস্য আড়ৎ ও জমিজমা নিয়ে আঃ রাজ্জাকের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিক শেখের সাথে আরজ আলী ও তার ভাই মহিদ শেখের বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মৎস্য আড়তের সামনে উভয়ের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় দুই পক্ষের সাথে স্থানীয় বিএনপি সমর্থিতরা জড়িয়ে পড়ে। দুইপক্ষই লোহার রড, হাতুড়ী, লাঠি ও দা নিয়ে হামলা, পাল্টা হামলা করে। এতে ১৬ জন গুরুতর জখম হন। আহতরা হলেন উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের আল আমিন (৪০), আজমল শেখ (৪৩), শহিদ ব্যাপারী (৩৬), আবুল কালাম (৪০), বাবুল শেখ (৩৫), শামীম শেখ (২২), আহম্মদ আলী (৪২), ইসমাইল শেখ (৩৫), আশরাফ আলী (৫৫), তাহিদুল ইসলাম (৪০), হোসাইন শেখ (১৮), তারেক শেখ (৩৫), ফারুক হোসেন (৫৫) আবুল কালাম (৩০) ও মাহিদ শেখ (৫০)। বাকীদের নাম তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব বলেন আমাদের লোকজনের উপর হামলা হয়েছে। আমাদের ১০/১২ জনকে কুপিয়ে ও হাতুড়ী-রড দিয়ে আঘাত করে পা ভেঙে দিয়েছে। ৭ জনকে খুমেক হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আমার বাড়িঘর ভাঙচুর করার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় আকোর উপর হামলা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক শেখ হাফিজুর রহমান তুহিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার চেষ্টা করছি। ভাগার আকো ঝামেলা করছে। সে লোকজন নিয়ে রামপাল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সেক্রেটারির পিতার দোকান ভাঙচুর ও তার পিতাকে মারপিট করেছে।
এ বিষয়ে রামপাল থানার ওসি মোঃ সেলিম রেজার কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। ঘটনাস্থলে ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঝনঝনিয়া, চেয়ারম্যান মোড়, ভাগা ও রনসেন এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানান ওসি সেলিম রেজা।