জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম দৃশ্যমান এবং দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে একমত হয়েছে বিএনপি ও সমমনারা। এজন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন তা দ্রুত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন তারা। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণ কিংবা পদত্যাগ নয়, তাঁকে রাখার পক্ষেও ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে বিএনপি ও সমমনা দলের নেতারা।
বুধবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমমনাদের সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির নেতাদের বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয় । বৈঠকে বিএনপির পক্ষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, বৈঠকে বিএনপি ও সমমনা দলের নেতারা বলেছেন- নির্বাচনের জন্য যেটুকু সংস্কার প্রয়োজন তা দ্রুত অন্তর্বর্তী সরকার করুক। যারা সরকার গঠন করবে তারা বাকি সংস্কার কাজ করবে। কেউ কেউ বলেছেন, সাংবাদিক শূন্যতা সৃষ্টি হোক, এমন কাজকে তারা সমর্থন করে না। এমন কাজ হলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারকে বাধাগ্রস্ত হবে।
বিকাল সাড়ে ৪টায় গণফোরামের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সদস্যরা। এতে গণফোরামের চেয়ারম্যান মোস্তফা মোহসীন মন্টু, কো-চেয়ারম্যান সুব্রত চৌধুরী, এস এম আলতাফ হোসেন, সদস্য সচিব মিজানুর রহমান, সমন্বয় কমিটির সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিউদ্দিন আবদুল কাদের, আব্দুল হাসিব চৌধুরী, মোশতাক আহমেদ, সুরাইয়া বেগম ও শাহ নুরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
বিকাল বিকাল সাড়ে ৫টায় গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। সেখানে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কর্ণেল (অব.) মিয়া মসিউজ্জামান, সদস্য সচিব ফারুক হাসান, উচ্চতর পরিষদ সদস্য ব্যারিস্টার জিসান মহসীন, ইঞ্জিনিয়ার এস ফাহিম, সাদ্দাম হোসেন, যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান ও সদস্য ইমামউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
পরে সন্ধ্যা ৬টায় এনডিএমের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি নেতারা। বৈঠকে এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, মহাসচিব মোমিনুল আমিন, উচ্চ পরিষদ সদস্য হুমায়ন পারভেজ, ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার শাহেদুল আজম, দপ্তর সম্পাদক জাবেদুর রহমান জনি উপস্থিত ছিলেন।