মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আয়োজিত অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র প্রত্যাখ্যান করে তা পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য এবং সমন্বয়ক ইব্রাহিম নিরব।
সোমবার বেলা সাড়ে ৩টায় নিজের ফেসবুকে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, নিরব আমন্ত্রণপত্রটিতে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে ফেলছেন।
ভিডিওতে আমন্ত্রণপত্র পোড়ানোর সময় সমন্বয়ক নিরব বলেন, খুনি হাসিনার ফ্যাসিস্ট দালাল রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর হাতে এখনও আমাদের ভাইদের রক্ত লেগে আছে। যার কারণে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে তার পাঠানো দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করলাম।
এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে তিনি এক ফেসবুক পোস্টে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন। ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ফ্যাসিস্টের দালাল রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর পদত্যাগ চাই। তার হাতেও আমার ভাইদের তাজা রক্ত লেগে আছে। তার দাওয়াতে বঙ্গভবন যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। বিজয় দিবসে চুপ্পুর দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করলাম।’ ইব্রাহিম নিরবের মতো আরও অনেকে ফেসবুকে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ প্রত্যাখান করেছেন।
এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানের অভিপ্রায়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ আখ্যা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতির অনুষ্ঠান প্রত্যাখ্যান করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সেল প্রধান জাহিদ আহসানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহান বিজয় দিবসে ফ্যাসিবাদী শাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পু কর্তৃক বঙ্গভবনে বিজয় দিবস উদযাপনের আমন্ত্রণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রত্যাখ্যান করছে। নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সাংগঠনিকভাবে যুক্ত কোনো নেতা-কর্মী আজ বঙ্গভবনে মহান বিজয় দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানে যাবে না। মহান বিজয় দিবসের মতো জাতীয় গৌরবের দিন ফ্যাসিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে পালন করাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানের অভিপ্রায়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ মনে করে।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনের এ অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা, বিদেশি কূটনীতিকরা এবং সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে থাকেন।