শুরু হলো আয়কর সেবা মাস। আজ রোববার (৩ নভেম্বর) থেকে মেলার পরিবেশে স্ব স্ব কর অঞ্চলে আয়কর রিটার্ন দাখিলের পাশাপাশি করদাতারা সব ধরনের সেবা পাবেন।
২০১০ সাল থেকে আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল। মেলায় আয়কর সম্পর্কিত সব ধরনের সেবা পাওয়া যেতো। ২০২০ সালে কোভিড-১৯ এর কারণে করমেলা বন্ধ হয়ে যায়। কোভিড পরবর্তী সময়ে শুরু হয় স্ব স্ব কর অঞ্চলে কর সেবা দেওয়া। বর্তমান অন্তবর্তী সরকারও সেই ধারা চালু রাখল।
ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের ৪১টি কর অঞ্চলের ৬৫০টি সার্কেলে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অফিস চলাকালে নিরবচ্ছিন্নভাবে করসেবা পাওয়া যাবে।
এবার কর অঞ্চলগুলোতে যেসব সেবা পাওয়া যাচ্ছে
· আয়কর মেলার পরিবর্তে কর অঞ্চলগুলোতে জাঁকজমকপূর্ণভাবে ও উৎসবমুখর পরিবেশে আয়কর রিটার্নসহ করদাতাদের সেবা দেওয়া হচ্ছে।
· প্রতিটি অফিসে খোলা স্থান বা কার পার্কিং এরিয়ায় রিটার্ন গ্রহণ বুথ ও হেল্প ডেস্ক স্থাপন করে রিটার্ন গ্রহণের পরিবেশকে আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে। একইসঙ্গে রিটার্ন দাখিলকারী করদাতাদের তাৎক্ষণিক প্রাপ্তি স্বীকারপত্রের সঙ্গে রিটার্ন দাখিলের জন্য উৎসাহ প্রদানে উপহার দেওয়া হচ্ছে।
· অনলাইনে কীভাবে রিটার্ন দাখিল করা যায়, সে বিষয়টি হাতে-কলমে দেখিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা থাকছে। অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করলে কর সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য অফিস যেতে হবে না।
· সব কর কমিশনার সেবা কেন্দ্রে ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন ও রি-রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
· প্রতিটি কর অঞ্চলের নিজস্ব ওয়েবসাইট তথ্যসহ হালনাগাদ করা হচ্ছে। ওই ওয়েবসাইটে আয়কর সংক্রান্ত বিভিন্ন ফর্ম, পরিপত্র, রিটার্ন পূরণের নির্দেশিকা, ভিডিও টিউটোরিয়ালসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য সন্নিবেশ করা হচ্ছে।
সেবা মাস উপলক্ষে কর অঞ্চলগুলোতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রচার-প্রচারণা চলছে। অন্যান্য মাধ্যমের পাশাপাশি ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চলবে।
এবারও সরকারি কর্মচারীদের জন্য সচিবালয়ে রিটার্ন জমার বুথ বসানো হচ্ছে। যা চালু থাকছে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত। আর শেরেবাংলা নগরে সরকারি কর্মচারীরা এই সেবা পাবেন ১৯ থেকে ২৩ নভেম্বর। সেনা মালঞ্চে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের রিটার্ন জমা দেওয়ার বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে।