র্যাবের ওপর থেকে ত তুলে নেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে, এটি সঠিক নয় বলে জানিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
বৃহস্পতিবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংএ স্টেট ডিপার্টমেন্টের পক্ষে নিষেধাজ্ঞার পক্ষে শক্ত অবস্থান জানান দেন উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।
ব্রিফিংয়ে অংশ নেওয়া এক সাংবাদিক জানতে চান- বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সঙ্গে একটি বৈঠক শেষে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেছেন, র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হোয়াইট হাউস এবং স্টেট ডিপার্টমেন্ট কাজ করছে। এ বিষয়ে জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে বলা হয়েছে এবং প্রসেসের মধ্যে আছে। এমন দাবি কী সত্য? ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ( র্যাব)’র ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, এমন দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, এ দাবিগুলো মিথ্যা। নিষেধাজ্ঞা সমুহ আরোপ করা হয়েছে আচরণ পরিবর্তন এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশে সফররত সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সাংবাদিকদের বলেন, জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে হোয়াইট হাউস থেকে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বলা হয়েছে। আমরা র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও বঙ্গবন্ধুর খুনি রশিদ চৌধুরীকে ফেরানোর কথা বলেছি। লু আমাদের জানিয়েছেন, এ বিষয় দুটি তাদের জাস্টিস ডিপার্টমেন্টে আছে। তাদের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট স্বাধীন। তারা বলেছে এটি পুশ করছে, সাপোর্ট দিচ্ছে। লু বলেছেন- হোয়াইট হাউস থেকেও জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে বলা হয়েছে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে।