লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েক দফায় উত্তর চরবংশী খাসেরহাট ও বাবুরহাট এলাকায় এই সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্টের পর মেঘনার চর, মাছঘাট, বাজার, কাঁচামালের আড়ত নিয়ে উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির মধ্যে দুটি পক্ষ সৃষ্টি হয়। একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন রায়পুর উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব শামিম গাজী ও অন্য পক্ষের নেতৃত্ব দেন ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ফারুক কবিরাজ।
দলের একটি সূত্র জানায়, রায়পুরের উত্তর চরবংশী ও দক্ষিণ চরবংশী এলাকায় মেঘনাপারের চান্দারখাল এলাকায় শামিম গাজীর টেবিলের পাশের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন খাসেরহাটের বিএনপির কর্মী ফারুক গাজী। এ নিয়ে শামিম গাজীর নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা খাসেরহাট বাজারে ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। এর পর ফারুক কবিরাজের নির্দেশে শামিম গাজীর অফিস ভাঙচুর করা হয়। পরে কালু মিজানের বাড়ি ও দোকানে হামলা, দুটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও কয়েকটি বাড়িতে লুটপাট চালানো হয়। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়। আহতদের রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে সফিক উল্যাহ রাঢ়ি ও লিন রাঢ়ির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রায়পুর উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব শামিম গাজী বলেন, ফারুক কবিরাজের নির্দেশে নেতাকর্মীর ওপর হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে।
তবে পাল্টা অভিযোগ করে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ফারুক কবিরাজ বলেন, ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীর ওপর ও বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ১০ নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছে। দুটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করার পাশাপাশি কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুট করা হয়েছে।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ঘটনাস্থলে সেনাসদস্যদের সঙ্গে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়োজিত। কোনো মামলা ও গ্রেপ্তার হয়নি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।