ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাবের বিষয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় শনিবার থেকে লঞ্চ চালানো বন্ধ রেখেছেন মালিকরা। এই প্রেক্ষাপটে রোববার (৭ নভেম্বর) বিকেলে মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে সরকার। বিকেল ৩টায় মতিঝিলের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কার্যালয়ে এই বৈঠক হবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম খান জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘বৈঠকে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান ছাড়াও মাননীয় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও সচিবও থাকতে পাবেন।’
গত বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটার ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে জনজীবনে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কায় এ নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে বাস চালানো বন্ধ রেখেছেন মালিকরা। লঞ্চ মালিকরা ভাড়া দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দেন সরকারের কাছে। শনিবারের মধ্যে ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়ায় ওইদিন বিকেল থেকে লঞ্চ চালানো বন্ধ করে দেন মালিকরা।
শনিবার বিকেলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বাদল জাগো নিউজকে বলেছিলেন, ‘আমরা ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলাম। সরকার এতে সাড়া দেয়নি। কথা ছিল দুপুরের মধ্যে আমাদের ডেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু সেটা হয়নি। মালিকরা বলছেন, লস দিয়ে তারা আর লঞ্চ চালাবেন না। সদরঘাটের টার্মিনাল থেকে সব লঞ্চ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থা থেকে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানের কাছে লঞ্চ ভাড়া দ্বিগুণ করার প্রস্তাব পাঠানো হয়।
প্রস্তাবে প্রতি লিটার ডিজেলের মূল্য ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রেক্ষাপটে লঞ্চ ভাড়া ১০০ কি.মি. পর্যন্ত ১ টাকা ৭০ পয়সার পরিবর্তে ৩ টাকা ৪০ পয়সা এবং ১০০ কিলোমিটারের ঊর্ধ্বে ১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা ৮০ পয়সা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন মালিকরা।