২০ এপ্রিল পেয়েছিলেন জন্মনিবন্ধন সনদ। ১ মে কানাডা সকার অ্যাসোসিয়েশনের ছাড়পত্র। তিন দিনের ব্যবধানে ৫ মে পেয়ে যান বাংলাদেশের পাসপোর্ট। শমিত সোমকে অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ফিফার পোর্টালে আবেদন করে সেদিনই। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফিফা প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির অনুমোদন পায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়ানোর সব ধাপ সম্পন্ন হয়েছে কানাডাপ্রবাসী এ মিডফিল্ডারের। এএফসির নিবন্ধন খাতায় ৩৯তম বাংলাদেশি ফুটবলার হিসেবে নাম উঠেছে শমিতের। পুরোদস্তুর বাঙালি শমিত কানাডা থেকে সমর্থকদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন।
বাফুফের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে তিনি বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ফুটবলের প্রতিনিধিত্ব করতে মুখিয়ে আছি। সবাইকে তাদের অসাধারণ সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। ধন্যবাদ তাদের, যারা প্রক্রিয়া দ্রুত করতে সাহায্য করেছেন আর একে (বাংলাদেশের হয়ে খেলা) সম্ভব করে তুলেছেন। ধন্যবাদ।’
শমিতের বাংলাদেশি হয়ে যাওয়ার পর ফুটবলাঙ্গনে এখন হামজা দেওয়ান চৌধুরী-শমিত সোম জুটি নিয়ে চলছে আলোচনা। সবকিছু ঠিক থাকলে ১০ জুন ঢাকা স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচে দেখা যাবে হামজা-শমিত জুটি। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ৫ জুন কোনো একটি দেশের বিপক্ষে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। সেই ম্যাচের আগে ঢাকায় ফিরবেন শমিত।
তবে ৫ তারিখের ম্যাচে তাঁর খেলার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। জানা গেছে, ১ জুন কানাডা প্রিমিয়ার লিগে ফোর্জের বিপক্ষে খেলবে শমিতের ক্লাব ক্যাভালরি এফসি। সেই ম্যাচ খেলে ঢাকায় রওনা দেবেন তিনি। ঢাকায় ৫ জুনের আগে এলেও শুরুতে দলের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়াটা তাঁর জন্য কঠিন বটে।
শমিত মিডফিল্ডার হওয়ায় ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে সোহেল রানা ও মোহাম্মদ সোহেল রানার পজিশন নিয়ে। এ দু’জনও সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে খেলেন। শমিত যদি তাঁর পছন্দের পজিশনে খেলেন, তাহলে দুই সোহেল রানার কপাল পুড়তে পারে। পজিশনের চেয়ে এখন আলোচনায় হামজা-শমিত জুটি নিয়ে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের জার্সিতে এক ম্যাচ খেলা ইংল্যান্ডপ্রবাসী হামজা মাঠে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তাঁর সঙ্গে শমিত জুটি বাঁধলে মধ্যমাঠে বাংলাদেশের শক্তিটা আরও বাড়বে।