ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট থেকে ভারতে অবস্থান করছেন। তবে পাসপোর্ট বাতিল হওয়ার কারণে নির্ধারিত সময় পর শেখ হাসিনার ভারত থাকার সুযোগ নেই এমন খবর আগেই জানা গেছে। ফলে হঠাৎ গুঞ্জন শোনা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভারত ছেড়ে আরব আমিরাতে চলে গেছেন। বেলারুশ চলে গেছেন এমন তথ্যও কেউ কেউ ফেসবুকে শেয়ার করছেন। তবে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় নিশ্চিত করেছেন তার মা এখনো ভারতেই আছেন।
সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ২৪ কে সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত ছেড়ে যাওয়ার খবর সঠিক নয়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট অবসান ঘটে শেখ হাসিনার প্রায় সাড়ে ১৫ বছরের শাসনে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে তিনি ভারতে পালিয়ে যান। সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা। এরপর থেকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভারতেই অবস্থান করেন।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর গণভবনে জনতার উল্লাস
শেখ হাসিনা ভারতে সাময়িক আশ্রয়ে আছেন এমনটা জানিয়েছিল দেশটি। পশ্চিমা কয়েকটি দেশে শেখ হাসিনকে স্থায়ীভাবে অবস্থানের সুযোগ করে দিতে ভারত দূতিয়ালি করলেও সফল হয়নি বলে জানা যাচ্ছিল। পরে মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে হাসিনাকে থিতু করার পরিকল্পনা ছিল দেশটির। যদিও আরব আমিরাত আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে বলে খবর বেরিয়েছিল।
শেখ হাসিনা ভারত ছাড়তে পারেন বলে কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এর মধ্যেই গত রোববার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে শেখ হাসিনা আমিরাতে চলে গেছেন। কোনো কোনো গণমাধ্যম এটা নিয়ে খবরও প্রকাশ করেছে। তবে কেউই কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রের কথা উল্লেখ করতে পারেনি।
কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম দাবি করছে, আরব আমিরাতের আজমান শহরে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। সম্প্রতি সেখানে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে দেখা গেছে। সেই শহরে শামীম ওসমানের বাড়ি আছে বলে খবর বেরোয়। তাই মনে করা হচ্ছে, আরব আমিরাতের আজমান শহরে শামীম ওসমানের বাড়িতে শেখ হাসিনা আশ্রয় নিতে পারেন।
এমন গুঞ্জনের মধ্যে গতরাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় তার মা কোথায় আছেন সেই তথ্য জানান।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘আমার মা ভারত ছেড়ে গিয়েছে বলে যে খবর চাউর হয়েছে সেটি সঠিক নয়। তিনি এখনো ভারতেই অবস্থান করছেন।’