বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধান জনগণকে সেইভাবে রক্ষা করতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ডক্টর রেজা কিবরিয়া।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
‘আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে সংবিধান সংস্কার ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক ওই সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদ।
স্বাধীনতার ৫০ বছরে এই সংবিধান আমাদেরকে গণতান্ত্রিক একটা ফ্রেমে রাখতে পারেনি, এটা পরিষ্কার। আমরা এখন একটা গণতান্ত্রিক দেশে। জনগণকে সরকার ভয় পাবে- এটা স্বাভাবিক। আমদের দেশে জনগণ সরকারকে ভয় পায়। এটা কেন?
গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ডক্টর রেজা কিবরিয়া
এর কারণ হিসেবে রেজা কিবরিয়া বলেন, সংবিধানে জনগণকে রক্ষা করার সেই ধরনের মেকানিজম নেই। আমাদের দেশের জীবনে এই সংবিধানের আর কোনো স্থান নাই। আমরা একটা নতুন সংবিধান চাই। গণতান্ত্রিকভাবে সেই সংবিধান তৈরি করা হবে। এটার ৫১ বছর হয়ে গেছে, এই সংবিধান ফেইল হয়ে গেছে। এই সংবিধানের যে প্রটেকশন, যে সিস্টেমটা ছিল, তা ডিফেক্টিভ।
গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক বলেন, অনেক প্রিন্সিপল আমাদের সংবিধানে নেই। আমাদের অন্য দেশের কথা চিন্তা করে যেই দেশে সাকসেসফুল, সেগুলা বোধহয় আনা দরকার। একটা হলো- সেপারশেন অব পাওয়ার। আমাদের বিভিন্ন বিভাগ, তাদের একটা পৃথক দায়িত্ব, পৃথক অধিকার দেওয়া দরকার। একটা আরেকটার ওপরে যেন খুব একটা প্রভাব না ফেলতে পারে। এটা খুব প্রয়োজন। যেটা আমেরিকায় আছে। আর সেপারেশন অব পাওয়ার ছাড়া আমাদের আরও কয়েকটা পিন্সিপাল আমেরিকায় যেটা করা হয়েছে, সেটা দরকার।
রেজা কিবরিয়া বলেন, আমরা যদি ১০ বিভাগে আলাদা নির্বাচন করে ১০টা বিভাগীয় সরকার তৈরি করি, তখন দেখা যাবে একটা পার্টি হয়তো ১০টা বিভাগের দায়িত্ব পাবে না। হয়তো দুই-তিনটা বা পাঁচটা অন্যদিকে যাবে এবং দলীয় রাজনীতি ও দলীয় রাজনীতি প্রতিযোগিতা অনেক ভালো হবে বাংলাদেশে। একটা দল পুরোপুরি দখল করতে পারবে না।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর প্রমুখ।


