বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, `সরকারের মন্ত্রী-নেতারা নির্লজ্জের মcjf আস্ফালন করে বলছে, পদত্যাগের চাপে নাই। সরকারের ব্যর্থতা, দুর্নীতি, লুটপাটে সার, জ্বালানি তেল, নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। দমন-নিপীড়ন বন্ধ করে চোখ মেলে জনগণের চোখের ভাষা বুঝুন, কান পেতে আহাজারি শুনুন। নচেৎ জন জোয়ারে ভেসে যেতে হবে।’
আজ শুক্রবার বিকালে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ধারা বাজারে ইব্রাহীম মার্কেট প্রাঙ্গণে ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদোগে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জ্বালানি তেল, নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি ও ভোলা-নারায়ণগঞ্জে হত্যার প্রতিবাদে এই সমাবেশের পর বিশাল বিক্ষোভ মিছিল হয়।
ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আরফান আলীর সভাপতিত্বে ,উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি ও আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আসলাম মিয়া বাবুল, হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ, নাদিম আহম্মদ, আবু হাসনাত বদরুল কবির, আবদুল হামিদ, কাজী ফরিদ আহমেদ পলাশ, বদরুল আহসান খান, প্রভাষক এমদাদ হোসেন, আলী আজম খান দিপু, মোতালেব হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ সাদমান ডুনন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সমাবেশে বিএনপি নেতা মুক্তিযোদ্ধা কাজিম উদ্দিন, আলী আশরাফ, রফিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান আসিফ ,জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আবদুল আজিজ খান, প্রভাষক মাসুম বিল্লাহ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক হোসনে নীলু, সহ-সভাপতি মনোয়ারা বেগম ময়না, উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক আবদুল গণি, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রুহুল আমিন খান, ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাইমুর আরেফিন পাপন, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আকিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি জনগণের পাশে আছে উলেখ করে প্রিন্স আরও বলেন, ‘অনৈতিকভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিদেশিদের কাছে আশির্বাদ না চেয়ে কৃত অপকর্ম, অপরাধের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করুন। আওয়ামী লীগ আজ শুধু জনবিচ্ছিন্নই নয়, কর্মী বিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গুলি চালিয়ে হত্যা করে রক্ত ঝরিয়ে সাময়িক আতঙ্ক সৃষ্টি করা যায়, আন্দোলন দমন করা যায় না। শহীদদের রক্তস্রোত জনদুর্ভোগবিরোধী আন্দোলনকে এক দফা আন্দোলনে নিয়ে যাচ্ছে।
পি এস / এন আই
