পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং দেশের কাছ থেকে সহজ শর্তের ঋণ পেতে তাদের চাপিয়ে দেওয়া পরামর্শকের বোঝা বইতে হয়। তবে বড় আকারের ঋণ পেতে এছাড়া কিছু করার থাকেনা। অনেক ক্ষেত্রে প্রকল্পের কাজের ধরণ অনুযায়ী দেশীয় পরামর্শকও পাওয়া যায়না। আবার অতীতে কোন ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশের কাজে সহায়তা করতে চাইলেও তাদেরকে সে সুযোগ দেওয়া হয়নি। অথচ তাদের অনেকেই বিদেশে বড় বড় কাজে পরামর্শক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
রোববার জাতীয় অর্থনেতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি–একনেক বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় নেওয়া এ প্রকল্পটিতে শুধু পরামর্শক ব্যয় ধরা হয় ১৯৪ কোটি টাকা। ৯০৪ কোটি টাকার প্রকল্পটিতে ৯০০ কোটি টাকাই ঋণ হিসেবে দিচ্ছে সংস্থাটি। সমাজসেবা অধিদপ্তরের নেওয়া প্রকল্পটি আগামী জুলাই মাসে শুরু হবে। শেষ হবে ২০৩০ সালের জুন মাসে।
আজকের একনেক সভায় সব মিলিয়ে ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি টাকার ১৬টি প্রকল্প পাস করা হয়। এর মধ্যে ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে ১৬ হাজার ৭২০ কোটি টাকা। সরকার দেবে ৩ হাজার ১ কোটি টাকা। বাকি অর্থ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা দেবে।