বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, স্বাধীন সাংবাদিকতা ছাড়া গণতন্ত্র সুরক্ষা পাবে না। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে অবশ্যই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
সাংবাদিকদের এ নেতা বলেন, গণমাধ্যম হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রধান সহায়ক। সাংবাদিকগণ হচ্ছেন জাতির জাগ্রত বিবেক, সমাজের ওয়াচডগ আর সংবাদপত্র হচ্ছে সমাজের দর্পণ, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। মনে রাখতে হবে চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে গণমাধ্যম যদি দুর্বল হয়, তাহলে রাষ্ট্রব্যবস্থা দুর্বল হয়ে যাবে।
শনিবার সিএমইউজে মিলনায়তনে চট্টগ্রামে মেট্টোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব বলেন।সিএমইউজে সভাপতি শাহ নওয়াজের সভাপতিত্বে ও সালেহ নোমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় সিনিয়র সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত, মোস্তফা নঈম, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মোহাম্মদ তোহা, সারোয়ার উদ্দিন আহমেদ, মজুমদার নাজিম, সাইফুল ইসলাম শিল্পী, মিয়া মোহাম্মদ আরিফ, সোহাগ কুমার বিশ্বাস, শহিদুল ইসলাম, আলমগীর নুর, হাসান মুকুল, সুপলাল বড়ুয়া, আড়িয়ান লেলিন, আমিরুল ইসলাম, ওয়াহিদ হাসান মিন্টু, মাহবুবু রশিদ, কামরুল হুদা, গোলাম মাওলা মুরাদ, শাননেওয়াজ রিটন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, দলবাজি, হলুদ সাংবাদিকতা ও তথ্য সন্ত্রাস সাংবাদিকদের মর্যাদা ম্লান করে দিচ্ছে। বস্তুনিষ্ঠ, সৎ, নির্ভীক সাংবাদিকতা দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনে। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার প্রশ্নে কোনো আপোষ করা চলবে না। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, বস্তুনির্ভর সাংবাদিকতাকে দখল করে নিয়েছে স্বার্থনির্ভর সাংবাদিকতা। একটি আদর্শ গণমাধ্যমের কোন দল, গোষ্ঠি, সরকার, বিদেশি রাষ্ট্র বা কোনো এজেন্সির কাছে দায়বদ্ধতা থাকে না। দায়বদ্ধতা থাকে শুধু দেশের জনগণের কাছে। আমাদের আরও মনে রাখতে হবে, গণমাধ্যমের পরাজয় মানে জনগণের পরাজয়। জনগণের পরাজয় মানে রাষ্ট্রের পরাজয়।
তিনি বলেন, ছাত্রহত্যা ও গণহত্যায় জড়িতদের রাজনীতি কিংবা সাংবাদিকতা অথবা অন্যপেশায় থাকার সুযোগ নেই। কারণ এরা জাতির দুশমন। এদের সঙ্গে আপোষ করা মানে শহীদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা।